কাগজ প্রতিবেদক ॥ সড়কের উপর গাড়ি রাখাকে কেন্দ্র করে ট্রাক চালক হেলপার হোটেল মালিকের সাথে বাকবিতন্ডা হাতাহাতির জের ধরে পাল্টা হামলা করতে এসে হোটেল মালিক ও স্থানীয়দের মারধরের শিকার হয়েছে ব্যবসায়ীর ছেলে সহ কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের বটতৈল মোড় এলাকায় গত ১৮ মে রাতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সড়কের মাঝে গাড়ি রেখে খাবার হোটেলে খেতে যায় খাজানগরের ধান চাল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এর ট্রাক চালক ও হেলপার। সড়কের উপর গাড়ি না রেখে সাইডে রাখতে বলাই চালক ও হেলপারের সাথে বাকবিতন্ডা হয় আশরাফ হোটেল মালিক ও কর্মচারীর। এক পর্যায়ে দুপক্ষের ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে দুপক্ষকে শান্ত করেন। এরই জের ধরে ঘটনার কিছুক্ষন পরে সেখানে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে হাজির হয় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র ছেলে রাজিব, মামুন, ও কিশোর গ্যং নেতা খাজানগরের শাকিলসহ বেশ কয়েকজন। তারা হোটেল মালিক বোঝে উঠার আগেই হোটেলে হামলার চেষ্টা করলে হোটেল মালিক আশরাফ ও কর্মচারীরা চিৎকার চেচামেচি শুরু করে। এ সময় আশপাশের লোকজন ছুটে এলে মামুন শাকিলসহ অন্যান্যরা স্থানীয়দের সামনেই আশরাফের উপর চড়াও হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আশরাফ ও স্থানীয়রা জিন্নাহ এর ছেলে রাজিব, মামুন, ও শাকিলসহ অন্যান্যদের মারধোর শুরু করে। একপর্যায়ে তার জনতার ধাওয়া খেয়ে প্রাণে বাঁচতে পিছুটান নিয়ে পাশের হোটেলে ঢুকে পড়ে। এ সময় স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের গণধোলাই দিয়ে হোটেলে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে জগতি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আলিম ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরে দুপক্ষের মাঝে সমোঝতা করে দেন।
স্থানীয় আরেক হোটেল মালিক মুক্তার হোসেন জানান, গাড়ি রাখা কে কেন্দ্র করে হোটেল মালিক আশরাফ ও ট্রাক চালকদের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। পরে গাড়ির মালিকের ছেলেরা এসে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং মারধোর শুরু হলে এক পক্ষ দৌড়ে আমার হোটেলের মধ্যে ঢুকে আশ্রয় নেন। পরে স্থানীয় ফাঁড়ির পুলিশ এসে শান্ত করেন। তবে পুলিশ সঠিক সময়ে না আসলে বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যেতো।
জগতি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আব্দুল আলিম ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটির খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে তিনি ছুটে আসেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। পরে দুপক্ষের মধ্যে সমোঝতা করে দেন।
Leave a Reply