কাগজ প্রতিবেদক ॥ মাসব্যাপী অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবে শোকাবহ আগস্টের ২৫তম দিনে কুষ্টিয়া শহরের ১৪ নং ওয়ার্ডে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে কুষ্টিয়া শহর ১৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কর্তৃক আয়োজিত শোকাবহ আগস্টের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ১৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদ উদ্দিন। সার্বিক পরিচালনা করেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর (প্যানেল মেয়র) শাহিন উদ্দিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান। প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক। কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবু, ১৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়ার আলী ও মাসুম মালিথা। কৃষক লীগের নেতা রাজু প্রমূখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম ও গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লাল্টু রহমান, শহর ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ডাঃ আফিল উদ্দিন, শহর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাইমুল ইসলাম শিপন, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম মুক্তার, শহর ছাত্র লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক জাহিদুর রহমান পাভেল, ছাত্রলীগ নেতা আদিপুজ্জামান সংগ্রাম, বিপ্লবসহ নেতাকর্মীবৃন্দ। অনুষ্ঠানে বক্তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের কথা উল্লেখ করে বলেন, ১৯৭৫ সালের এ মাসে বাঙালি জাতি হারিয়েছে তার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পাশাপাশি হত্যা করেছে বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবকে। বক্তারা বলেন, সেদিন ঘাতকদের হাতে প্রাণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশু শেখ রাসেল সহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নীপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনি, তার সহধর্মিণী আরজু মনি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন। সেদিন প্রানে বেঁচে গিয়েছিলেন বঙ্গকণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা। সেদিন বঙ্গকণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে ছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল দেশ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। বক্তারা আরো বলেন, যে নেতার জন্ম না হলে আমরা স্বাধীনতা পেতাম না। আর সেই মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। এর মত জঘন্যতম কাজ আর হয় না। আলোচনা শেষে ১৯৭৫ সালের ১৫আগস্টে যারা নিহত হয়েছে তাদের ও যারা দেশের জন্য লড়াই সংগ্রাম করে শহীদ হয়েছেন সকলের আত্মার মাগফিরা মনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
Leave a Reply