বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাঙ্গালী জাতিকে দাবিয়ে রাখা যায়নিঃ আজগর আলী
রাজনৈতিক ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু হত্যা একটি জঘণ্যতম অধ্যায়ঃ আতাউর রহমান আতা
কাগজ প্রতিবেদক ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতীয় শোক দিবসে পৌর ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে মাসব্যাপী কর্মসুচীর উদ্ধোধন করা হয়েছে।
গতকাল বিকেলে পৌর ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের উদ্যোগে কুষ্টিয়া পৌর অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ নিয়ে আলোচনা সভা, সকল শহীদের আত্মার প্রতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়ে দোয়া মোনাজাত ও খাদ্য বিতরণ করা হয়।
ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, বিশিষ্ট শিল্পপতি জাফর মোল্লার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী বলেন, ঘাতক জিয়া চক্রের গভীর ষঢ়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নৃশংস হত্যার শিকার হতে চেয়েছিল। কেননা মহান মুক্তিযুদ্ধে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যদিয়ে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেলেও বিশ^াস ঘাতকেরা মনে করেছিল তারা দেশটিকে যে ভাবেই হউক আবারও পাকিস্তানী রাষ্ট্র বানাবে। কোন পথ না পেয়ে অবশেষে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে তাদের সে নীল নক্সা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে বাঙ্গালী জাতিকে দাবিয়ে রাখা যায়নি। বঙ্গবন্ধুর উত্তোরসুরী জননেত্রী শেখ হাসিনা-শেখ রেহেনাকে মহান আল্লাহপাক বাঁচিয়ে রাখেন পিতার রেখে যাওয়া অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আজ উন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। পরিশেষে বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মহান আল্লাহপাকের কাছে দোয়া কামনা করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা বলেন, আমরা বাঙ্গালী আমাদের একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হবে এ স্বপ্ন প্রথম বঙ্গবন্ধুই দেখেছিলেন। আর কোন বাঙ্গালী রাজনৈতিক নেতার এ স্বপ্ন ছিল কিনা আমাদের জানা নেই। তাই তিনি পাকিস্তানী রাষ্ট্রক্ষমতার মন্ত্রী হয়েও শুধু মাত্র বাঙ্গালী জাতির মুক্তির জন্য বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্র গঠনের জন্য পাকিস্তানী শোসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন ঘোষণা করলেন। এতে তার নিজের জীবন, সংসার, পরিজন, পরিবার সব কিছুকে তিনি পরিত্যাগ করলেন, অর্ধেকটা জীবন তিনি জেলেই কাটিয়েছেন। কোন বাঙ্গালী রাজনৈতিক নেতা এতদিন জেল খেটেছেন বলে আমার মনে হয় না। একটি জাতি ও দেশকে কতটা ভালো বাসলে একজন মানুষ জীবনে এত ত্যাগ করতে পারেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানী দোসরা মনে করেছিল বাংলাদেশ যেহেতু স্বাধীন হয়ে গেছে। তাই বঙ্গবন্ধুকে একা নয় তাকে নিরবংশ করতে পারলে বাংলাদেশকে আবারও পাকিস্তান বানানো সম্ভব। সেই ঘৃণ ষঢ়যন্ত্রে মেতে খুনী জিয়ার মদদে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট রাতের আঁধারে বঙ্গবন্ধুসহ ১৭ সদস্যকে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে পৃথিবীর ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু হত্যা একটি জঘণ্যতম একটি হত্যাকান্ড। তিনি অবিলম্বে বিদেশে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধুর সকল খুনীদের ফেরত এনে শাস্তি কার্যকরের দাবী জানান। শেষে তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মহান আল্লাহপাকের কাছে দোয়া কামনা করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা তাইজাল আলী খান, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জেবউন নেছা সবুজ, শহর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর মীর রেজাউল ইসলাম বাবু, ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাইমুল ইসলাম প্রমুখ। আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দসহ কয়েকশত এলাকাবাসী।
Leave a Reply