1. nannunews7@gmail.com : admin :
July 27, 2024, 12:54 am
শিরোনাম :
বিটিভির ধ্বংসযজ্ঞ দেখে চোখ ভিজে উঠল প্রধানমন্ত্রীর যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন করতে হবেঃ মোঃ এহেতেশাম রেজা কুমারখালীতে খালের মুখ বন্ধ করলো পাউবো, হুমকিতে দুই হাজার বিঘা জমির ফসল ঢাকায় আন্দোলনের মাঝে পড়ে কুষ্টিয়ার দুই বন্ধুর মৃত্যু, সরকারের সহযোগিতা চায় পরিবার নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো কুষ্টিয়ায় ৩ বন্দির আত্মসমর্পণ ঢাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলনে কুষ্টিয়ার গাড়ী চালক নিহত কুষ্টিয়ায় সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল, রাত ৮টা থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত বহাল কুষ্টিয়ার প্রথিতযশা সাংবাদিক আলহাজ্ব ওয়ালিউল বারী চৌধুরী’র ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালন জামরুল চাষ ভারতের সামনে ছিন্নভিন্ন বাংলাদেশ

অর্ধশত মটরসাইকেলসহ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে গভীর রাতে স্বশস্ত্র মহড়া

  • প্রকাশিত সময় Saturday, April 23, 2022
  • 81 বার পড়া হয়েছে

কিসের আলামত !

কাগজ প্রতিবেদক ॥ ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ায় দুদকে বেনামেী চিঠির প্রেক্ষিতে মিডিয়াপাড়ায় এখন আলোচনা-সমালোনাচনা তুঙ্গে। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অর্থ আত্মসাত, টেন্ডারবাজী, দুর্নীতি, অনিয়ম করে শত শত কোটি টাকার জমি, সম্পদ, গাড়ী, বাড়ী করার ফিরিস্তি দিয়ে দুদকে দেয়া বেনামী চিঠির বরাত দিয়ে দেশের শীর্ষ স্থানীয় জাতীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বেশ মুখোরোচক খবরে গত কয়েকদিন সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে খবর দেখে পাঠক প্রিয়তাও পেয়েছে বেশ। কিন্তু খবরের অন্তরালে আরও খবর রয়েছে বলে একটি দায়িত্বশীলসুত্র জানিয়েছে। সুত্রটি বলছে, আসলে প্রকাশ্যে যাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে বা হচ্ছে তাদেরকে সাধারণ মানুষ সব সময় দেখছেন এবং দেখা যাচ্ছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতৃত্বে হাতে গোনা দু একজন যারা জনসাধারণের মাঝে কখনও আসেন না। আবার আসলেও জনসাধারণ তাদেরকে আগে যেমনটা চিনতেনা এখন তেমন একটা চিনেন না। অথচ এসব ঘটনার চেয়েও বেশি অপকর্মের হোতা হয়ে কাজ করছেন তারাই। সুত্রটি বিখ্যাত উক্তির আলোকে বলছে, আসলে ‘মুখ মে শেখ ফরিদ বগোল মে ইট’র মত কান্ড। দু একজন যাদের কে জেলার মানুষ বহু সম্মান করেন এবং করে আসছেন তারা আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর নেতৃত্বে তেমন একটা জায়গায় না আসতে পেরে নেতৃত্বে থাকা নেতা কর্মিদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে যদি কিছু ফায়দা হাসিল করা যায় সে প্রচেষ্টায় তারা লিপ্ত। এসব তারই নজীর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,  জেলার হাট, ঘাট, বাজার, বালু মহাল, ব্রীজ ইজারায় শীর্ষ নেতা কর্মিদের নাম আসলেও অন্তরালে রয়েছেন ওই সকল কতিপয় নেতা ও তাদের আর্শিবাদ পুষ্ঠ, আত্মীয়, রক্তের সম্পর্কে পরিবারের নিকটজন।

সুত্রটি আরও বলছে, গত কয়েকদিন আগে জেলার বালু মহালগুলোর নতুন ইজারা প্রাপ্তির পর লাইসেন্স করা অস্ত্রসহ ও লাইসেন্সবীহিন অস্ত্র নিয়ে জেলার ডিএসবির তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত মটরসাইকেল, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার নিয়ে শহরের উত্তর-দক্ষিণ কোণ গড়াই নদীর তীরবর্তি স্থান দিয়ে ওই সকল নেতাদের আর্শিবাদ পুষ্ট,ু নাম সর্বস্বহীন নেতা, কর্মি, ক্যাডার বাহিনী একটা মহড়া দিয়েছে। যাতে করে আসছে বালু মহাল ইজারায় যেই আসুক না কেন তাদের হিস্যাটা যেন সঠিক থাকে। ব্রীজ, বাজার, হাট-ঘাট ইজারা, জেলার গুরুত্বপুর্ণ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়মুলক কাজ নিয়ন্ত্রণও করে ওই গ্রুপটি। তবে প্রকাশ্যে তাদের নাম নেই, আছে অন্তরালে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ,জনপ্রতিনিধিদের বছরে, মাসে একবার হলেও জনসাধারণের কাছে জবাব দিহিতা করতে হয়। যাদের কোন পদ-পদবি নেই, ক্ষমতায়ও নেই কিন্তু ক্ষমতার স্বর খাচ্ছেন গোপনে গোপনে। এ যেন ওই উক্তির মতই , মুখ মে শেখ ফরিদ বগোল মে ইট, । আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর গেল প্রায় এক যুগে এ জেলার অনেক শীর্ষ স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মি, সংসদ সদস্য, পুত্রের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসলেও অন্তরালে থাকা ওই সকল নেতা ও তাদের আত্মীয় স্বজনদের অপকর্মের কাহিনী জনসাধারণের সামনে আসেনি। সুত্রটি বলছে, নাম আসবে কি ভাবে। ওরা পদেও নেই পদবিতেও নেই। ওদের কাজ হচ্ছে কোন শীর্ষ স্থানীয় নেতা কর্মি, সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে তাদের জনপ্রিয়তায় কমানো এবং নামে-বেনামে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের দপ্তরসহ সরকারী বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণূ দপ্তরে চিঠি দিয়ে তাদের হেনস্তা করা। এতদিন এসব চাপা থাকলেও এখন আর চাপা থাকছে না। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা অন্তরালে থাকা এসব নেতাদের তালিকা সংগ্রহ করে তাদের ফোন ট্রেকিং এবং তাদেরও সম্পদ, সম্পত্তির হিসেব নিচ্ছেন বলে সুত্রটির দাবী।

আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিশন-ভিশন নিয়ে দেশকে উন্নয়নশীল দেশে নিতে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। আর ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের ওই সকল সাবেক, বর্তমান নেতারা জনপ্রিয় নেতা কর্মিদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে, নিজের লাইসেন্স করা অস্ত্রসহ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীর নেতৃত্বে স্বশস্ত্র মহড়া দিয়ে শান্তিপুর্ণ জেলাকে আবারও চরমপন্থী অধ্যুষিত জেলা হিসেবে পরিগণিত করতে চায়। সাধারণ মানুষের জিজ্ঞাসা এটা কিসের আলামত। পদ না পেয়ে হিং¯্র পশুর মত হয়ে উঠেছে তারা। দেশ ও দল কোনটিরই কল্যাণ চায় না বরং কি ভাবে দলটিকে স্বমুলে নিষ্পেষিত করা যায় সে প্রচেষ্টায় লিপ্ত তারা। দলের অভ্যান্তরে এসব দেখে বিরোধীরা হাতে তালি দিচ্ছে দম ফাটানো হাসিতে হাসছে। তবে সেদিন আর বেশি দুরে নয়। সুত্রটি বলছেন, দলের পদে না থেকেও স্বর খাওয়া ওই সকল নেতা কর্মিদেরও তালিকা করছেন বিভিন্ন সংস্থা অচিরেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এ বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Kushtiarkagoj
Design By Rubel Ahammed Nannu : 01711011640