কাগজ প্রতিবেদক ॥ কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ¦ সদর উদ্দিন খান বলেছেন, ঐতিহাসিক ছয়দফা ছিল বাঙ্গালীর মুক্তির সনদ, আমাদের মহান স্বাধীনতার প্রথম ভিত্তি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালী জাতির মুক্তি ও সার্বভৌমত্বের কথা মাথায় রেখে ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬দফা দিয়েছিলেন। ছয় দফার ভিত্তিতেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তিনি বলেন, আজকে নতুন প্রজন্ম অনেক ইতিহাস জানে না। আওয়ামীলীগের ইতিহাস জানে না। তাদের মধ্যে ঐতিহাসিক ছয়দফা কর্মসুচী নিয়ে বেশি বেশি করে আলোচনা, সেমিনার করতে হবে। যাতে করে তারা দেশ ও জাতির সঠিক ইতিহাস জানতে পারে। তিনি গতকাল জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ঐতিহাসিক ছয়দফা দিবস উপলক্ষ্যে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুলদিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীসহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ সময় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলনের গুরুত্বপুর্ণ অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিল ১৯৬৬ সালের এই দিনে। তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর শোষণ ও বৈষম্য নীতির বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে ঐতিহাসিক ছয় দফা প্রস্তাব পেশ করেন। ছয় দফা দাবি আদায়ে ১৯৬৬ সালের ৭ জুন আওয়ামী লীগের ডাকে হরতাল চলাকালে পুলিশ ও ইপিআর নিরস্ত্র মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে তাদের হত্যা করে।
Leave a Reply