কাগজ প্রতিবেদক ॥ বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশে কর্মরত হেলাল মোর্শেদ প্রথম স্ত্রী থাকার পরও প্রেম করে দ্বিতীয়বার এক মেয়েকে দুই দুইবার বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে মোবাইল ফোনে পরিচয় এবং এরপর প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ভেড়ামারার চাঁদ গ্রামের হেলাল মোর্শেদ ও ভুক্তভোগী এক নারী । ভুক্তভোগী মেয়েটি জানান, প্রথমে তিনি জানতেন না হেলাল মোর্শেদ বিবাহিত এবং তার দুটি সন্তান রয়েছে । মেয়েটি হেলাল মোর্শেদ এর স্ত্রী এবং সন্তান আছে জানান পর হেলাল মোর্শেদ তাকে আশ্বস্ত করেন তিনি তার প্রথম স্ত্রী কে তালাক দিবেন এরপর হেলাল মোর্শেদ মেয়েটিকে গত বছরের ১০ নভেম্বর ২০২০ কুষ্টিয়া বাইপাস সড়কে অবস্থিত কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টে ডেকে আসাদুল্লাহ মাদানী নামক এক কাজীর মাধ্যমে বিবাহ করেন । এরপর মেয়েটি তাদের কাবিননামা চাইলে প্রতারক হেলাল মোর্শেদ তাকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন । পরে মেয়েটি বুঝতে পারে তাকে ভুয়া কাবিনে বিয়ে করেছেন প্রতারক হেলাল মোর্শেদ । এরপর মেয়ে তাকে চাপ দিতে থাকলে গত বছরের ১৪ ই ডিসেম্বর ২০২০ মেয়েটি সহ হেলাল মোর্শেদ মিরপুরের টিক্কা কাজী অফিসে হাজির হয়ে পুনরায় বিয়ে করেন। উল্লেখ্য হেলাল মোর্শেদ বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশে কর্মরত এবং তার ব্যাচ নাম্বার ৮০৫ বলে মেয়েটি জানান । মেয়েটির প্রথম বিয়ের ব্যাপারে কাজী আসাদুল্লাহ মাদানী ‘র নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, হেলাল মোর্শেদ তাকে মিথ্যা বিয়ে পড়াতে বাধ্য করেছিলেন । হেলাল মোর্শেদ কিছুদিন আগে ভেড়ামারা জিআরপি থানায় কর্মরত থাকলেও বর্তমানে তিনি ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনের জিআরপি থানায় কর্মরত রয়েছেন । শরীয়ত সম্মত উপায়ে বিবাহ করলেও গত তিন মাস ধরে মেয়েটির কোন ভরণপোষণ ব্যয় নির্বাহ করছেন না প্রতারক হেলাল মোর্শেদ । ভূক্তভোগী মেয়েটি তার কাছে ভরণপোষনের টাকা চাইলে সে বিভিন্ন টালবাহানা করে তাকে ঘোরাতে থাকেন । এদিকে মেয়েটির কাছে বিয়ের কোন ডকুমেন্টস বা কাবিননামা না থাকায় সে হেলাল মোর্শেদ এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না । মেয়েটি প্রতিবেদকের এর কাছে অভিযোগ করে বলেন তিনি মিরপুরের কাজী টিক্ক ‘র তার কাবিননামা চাইলে তিনি তার কাছে তিন হাজার টাকা দাবি করেন । এই বিষয়ে টিক্কা কাজীর সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি হেলাল মোর্শেদ ও মেয়েটির বিবাহের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কাবিননামার বিষয়ে তিনি মেয়েটির কাছে কোন টাকা দাবি করেন নাই । মেয়েটি তার অফিসে আসলে তিনি তার কাবিননামা তাকে দিয়ে দিবেন । ভুক্তভোগী মেয়েটি প্রতিবেদক কে আরো জানান, প্রথম বিয়ের কাবিন নামায় প্রতারক হেলাল মোর্শেদ তার বাবার নাম আজগর আলী এবং মায়ের নাম আমেনা খাতুন বলে উল্লেখ করেন । পরবর্তীতে দ্বিতীয় বিয়ের সময় তিনি তার বাবার নাম আনসার আলী ও মায়ের নাম রোকেয়া বলে উল্লেখ করেন । এই বিষয়ে হেলাল মোর্শেদ এর মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও ফোন না ধরার কারণে তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই ।
Leave a Reply