মিরপুর প্রতিনিধি ॥ জুলাই চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গীকারে কুষ্টিয়ার মিরপুরে “জুলাই শহিদ দিবস” উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদগণের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের আরোগ্য কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে উপজেলা সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল ইসলাম। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী মেশকাতুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার আব্দুল্লাহ আল কাফী, উপজেলা প্রকৌশলী জহীর মেহেদী হাসান, মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোমিনুল হক, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক খন্দকার টিপু সুলতান, পৌর বিএনপি’র সভাপতি আব্দুর রশিদ, মিরপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মারফত আফ্রিদী, উপজেলা জামায়াতের আমীর রেজাউল করিম, পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম আলী, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান মাহফুজ, উপজেলা মৎস্য অফিসার আবুল কালাম আজাদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত ও এনসিপি’র প্রতিনিধি প্রমুখ। এসময় বক্তারা বলেন, ভোটার বিহীন আর রাতের ভোটের নির্বাচনের মাধ্যমে একটানা ১৬ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার। বিরোধীদলের মতকে দমন নিপীড়ন আর নির্যাতন করে রাখা ছিল নিত্যাকার ঘটনা। এছাড়াও বিরোধী মতের মানুষকে টুটি চেপে ধরে ভরে রাখা হতো জেল খানায়। এমন শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায় মানুষ যখন দিশেহারা, ঠিক তখনই বৈষম্যরিবোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে রাজপথে নেমে আসে কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ, ছাত্র-জনতা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। গণবিষ্ফোরণে গণ-অভ্যুত্থান ঘটে যায় বাংলাদেশে। পালিয়ে শেষ রক্ষা পায় ফ্যাসিষ্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দলের শীর্ষ নেতা-কর্মীরা। হাজার হাজার মেধাবী শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ মানুষের বুকের তাজা রক্ত আর জীবন বলিদানের মাধ্যমে মুক্তি পায় বাংলার মানুষ। ফিরে পায় কথা বলার স্বাধীনতা। মুক্ত আকাশে মুক্তির শ্বাস ফেলে মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে কোটি কোটি মানুষ। শেষে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহিদগণের আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের আরোগ্য কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
Leave a Reply