জার্মানির দুইটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অক্সফোর্ডের টিকা বয়স্কদের কাজে আসে না। তাদের দাবি, ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এই টিকার কার্যকারিতা মাত্র ৮–১০ শতাংশ। দু’টি সংবাদপত্রই জার্মান সরকারের বেনামি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এই দাবি করেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
তবে অক্সফোর্ড টিকার উৎপাদক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা দুই জার্মান সংবাদমাধ্যমের দাবি অস্বীকার করেছে।
হ্যান্ডলসব্যাট–এর রিপোর্ট বলেছে, বয়স্কদের মধ্যে এই টিকা ৮ শতাংশ কার্যকর। আর বিল্ডের রিপোর্ট জানাচ্ছে, তা ১০ শতাংশের কম কার্যকর। দুইটি সংবাদপত্রের রিপোর্টে বলা হয়েছে, জার্মান সরকারের পরিকল্পনা ছিল, যারা সেন্টারে আসতে পারবেন না, তাদের বাড়িতে গিয়ে এই টিকা দেয়া। কারণ, এই টিকা নিয়ে যাওয়া ও রাখা সহজ। ফাইজার–বায়োনটেকের মতো মাইনাস ৭০ ডিগ্রিতে রাখতে হয় না। জার্মানির সরকারি কর্মকর্তারা মনে করছেন, ইউরোপের মেডিসিন এজেন্সি(ইএমএ) সম্ভবত বয়স্কদের উপর এই টিকা ব্যবহারের অনুমতি দেবে না।
এমন একটা সময়ে দুই জার্মান সংবাদপত্রে এই খবর প্রকাশিত হলো, যখন অ্যাস্ট্রাজেনেকা ইউরোপে প্রতিশ্রুতি মতো টিকা সরবরাহ করতে পারছে না। তারা অনেক কম ভ্যাকসিন দিয়েছে ইউরোপকে। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন ইইউ–র হেলথ অ্যান্ড ফুড সেফটির কর্তারা। কবে তারা প্রতিশ্রুতিমতো ভ্যাকসিন দিতে পারবে তা নিয়েই আলোচনা হবে।
গত মাসে অ্যাস্ট্রাজেনেকা তাদের ভ্যাকসিন ইউরোপে চালুর অনুমোদন চেয়েছিল। জার্মানির স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে সম্ভবত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে ইএমএ।
Leave a Reply