কুমারখালী প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এখনো রাত জেগে সংঘবদ্ধভাবে সড়কে বসে দোকান পাহারা দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যদিয়ে হাসিনা সরকারের পতন ও তার দেশত্যাগের পর একশ্রেণির দুর্বৃত্তরা বাজারের একাধিক দোকানে ভাংচুর অগ্নিসংযোগ ও মালামাল লুটপাট করে। এরমধ্যে সনাতন ধর্মাবলম্বী ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন। পুলিশের কর্মবিরতির কারণে সুযোগ সন্ধানী দুর্বৃত্তরা নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়। দোকান ভাংচুর অগ্নিসংযোগ ও মালামাল লুটপাটের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সে কারণে ব্যবসায়ীরা সমন্বিত উদ্যোগে নিজেরাই রাত জেগে দোকান পাহারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সোমবার গভীর রাতে কুমারখালী বাজারের প্রধান সড়ক সহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে সড়কের উপরে মাদুর বিছিয়ে বসে আছেন ব্যবসায়ীরা। কখনো তারা খাবার রান্না করে খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করছেন। আবার কেউ কেউ রাস্তায় মাদুর বিছিয়ে লুডু কিংবা তাস খেলে সময় কাটাচ্ছেন। এই দোকান পাহারার কাজে বিএনপি- জামায়াত সমর্থিত সহ সাধারণ ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন। বাজারের অধিকাংশ মার্কেটের ব্যবসায়ীরাই রাতে দোকান পাহারা দিচ্ছেন। সেই সাথে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লাতেও দলমত নির্বিশেষে রাত জেগে কিংবা সতর্ক অবস্থানে থেকে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি প্রতিরোধে কাজ করছেন। এ প্রসঙ্গে শহরের আলিমুদ্দিন সড়কের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও এম আর এন্টারপ্রাইজের মালিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আসলে পুলিশের কার্যক্রম নিস্ক্রিয় থাকায় এক শ্রেণীর দুর্বৃত্তরা দোকান ভাংচুর অগ্নিসংযোগ ও মালামাল লুটপাট করেছে। তাই আমরা ব্যবসায়ীরা নিজেরাই দোকান পাহারা দিচ্ছি। আরেক ভুষিমাল পাইকারি ব্যবসায়ী লালন বলেন, এভাবে দু-একদিন রাত জেগে পাহারা দেওয়া যায় কিন্তু প্রতিদিন এ কাজ সম্ভব নয়। তবে ব্যবসায়ীদের ধারণা পুলিশ ও সেনা সদস্যরা টহল দিচ্ছেন এবং পুলিশ থানায় সেবাদান কার্যক্রম শুরু করেছেন। আশাকরি খুব তাড়াতাড়িই সব পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে দোকানে হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ ও মালামাল লুটপাটের ঘটনার তদন্ত ও জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গহণের দাবীও করেন অনেকেই।
Leave a Reply