এনএনবি : ফিলিস্তিনের অন্যতম স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা আহমাদ আব্দেল হাদি বলেছেন, অবরুদ্ধ গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণের বিষয়ে ফিলিস্তিনি জাতি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।
বুধবার চীনের মধ্যস্থতায় ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি সংহতি চুক্তি মূল্যায়ন করার সময় তিনি এ কথা বলেন।
লেবাননে হামাসের প্রতিনিধি আহমাদ আব্দেল হাদি বলেন, ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনগুলোর মধ্যকার মতপার্থক্য দূরে সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্তটি ফিলিস্তিনি জাতির ঐক্যের বার্তা বহন করে, যা ৭ অক্টোবর পরিচালিত আল-আকসা অপারেশনের ফলাফল।
আল-মায়াদিন টেলিভিশন চ্যানেলকে আহমাদ আব্দেল হাদি বলেন, বেইজিং থেকে যে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে তাও আল-আকসা অভিযানের ফলাফল।
গাজা উপত্যকায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে হামাসের এই নেতা জোর দিয়ে বলেন, এ ধরনের যেকোনো পদক্ষেপকে গাজা দখল এবং আন্তর্জাতিক বাহিনীকে দখলদার বাহিনী হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বেইজিংয়ের ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি নেতাদের ওপর অনেক বড় দায়িত্ব বর্তেছে এবং তা হচ্ছে আল-আকসা অভিযানের সুবিধা নিতে হবে এবং ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে।
গত ১৪ জুলাই চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা দুই দিনের জন্য এক বৈঠকে মিলিত হন এবং সেখানে গাজাভিত্তিক হামাস ও পশ্চিম তীরভিত্তিক ফাতাহ আন্দোলন একটি সমঝোতা চুক্তিতে পৌঁছায়।
চুক্তি অনুযায়ী, গাজা যুদ্ধের পর দুই দল মিলে একটি জাতীয় সরকার গঠন করবে।
এর আগে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ওই বৈঠকের কথা ঘোষণা করেন।
চীনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোও ইসরাইলি দখলদারিত্ব এবং ফিলিস্তিনি ভূমিতে তাদের বসতি স্থাপনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে।
এর আগে এপ্রিলে ফাতাহ এবং হামাস কর্মকর্তাদের একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে এবং তাদের মধ্যকার মতপার্থক্য সমাধানের জন্য প্রথম দফা বৈঠকের আয়োজন করে বেইজিং।
চীন ঐতিহাসিকভাবে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে আসছে এবং ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত সমাধানে দ্বি-রাষ্ট্রের পক্ষেই কথা বলে আসছে।
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন করা উচিত বলেও বিবৃতি দেয় চীন। সেই সঙ্গে চীনা কর্মকর্তারা গাজায় চলমান ইসরাইলি অপরাধের বিষয়টি বিশ্ব দরবারে ক্রমবর্ধমানভাবে তুলে ধরে আসছেন। সূত্র: ইরনা
Leave a Reply