আলমডাঙ্গা ব্যুারো ॥ হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা (কালী) আলমডাঙ্গা শ্রী শ্রী গাংবাড়ী কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে উৎসবমুখর পরিবেশে ৫ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিন, গাংবাড়ী মন্দিরে রবিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে শুরু হয়েছে। কার্তিক মাসের অমবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামা পূজা বা কালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। হিন্দু পূরাণ মতে কালী দেবী দূর্গাই একটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার কালথ শব্দ থেকে কালি নামের উৎপত্তি। কালী পূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে কালীপূজার মহাত্ম। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুন্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।
হিন্দু সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব শ্রী শ্রী শ্যামা পূজা (কালী) রবিবার মধ্য রাতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কার্তিক মাসের অমবস্যা তিথিতে সাধারণত শ্যামা পূজা বা কালী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।
কালী পূজার দিন হিন্দু সম্প্রদায় সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে, মন্দিরে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে। এছাড়াও স্বর্গীয় পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনদের স্মরণ করেন। এটিকে বলা হয় দীপাবলী। আলমডাঙ্গা গাংবাড়ি কালী মন্দির কমিটির সভাপতি অমিত ভৌতিকা জানান মন্দিরের সাজসজ্জা সম্পূর্ণ করে প্রতিবারের ন্যায় এবারও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আমরা শ্রী শ্রী গাংবাড়ী কালী মাতা মন্দিরে, কালী পূজার আয়োজন করেছি।
এদিকে মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক লিমন বিশ্বাস সকলকে দীপাবলীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলছেন, শারদীয়া শেষে ফিরে গেছেন উমা উৎসবে মেতেছে শহর। ঘরে এসেছে শ্যামা, তাই আমরা কালী মায়ের পূজার সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করে পূজার সকল ব্যবস্থা সমাপ্ত করে শুরু হয়েছে এ উৎসব। এবার মায়ের বাৎসরিক অমাবস্যা পূজা রাত ১২ টা এক মিনিটে ভক্তদের নিয়ে পুষ্পাঞ্জলি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এরপর সকালে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। পূজা অর্চনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীশ্রী গাংবাড়ী মন্দির কমিটির সভাপতি অমিত কুমার ভৌতিকা, সাধারণ সম্পাদক লিমন বিশ্বাস, কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে সাবেক সভাপতি অসিত কুমার ঘোষ, বিশ্বজিৎ সাধুখা, বিপুল সাহা, বিদ্যুৎ সাহা, পলাশ আচার্য, সুমিত কুমার ভৌতিকা, তন্ময় দে, অর্জুন দত্ত, সাধন মালাকার, উৎপল দত্ত সহ শত শত ভক্তবৃন্দ। ১৭ সেপ্টেম্বর পূজা অর্চনা শেষ হবে।
Leave a Reply