মোঃ বশিরুল আলম,আলমডাঙ্গ া ॥ গতকাল বিকাল সাড়ে চারটায়, আলমডাঙ্গা উপজেলায় কুমারি ইউনিয়ন স্কুল মাঠে বিএনপি-জামায়াত চক্রের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র,আগুন সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও অপতৎপরতার প্রতিবাদে ও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন জনগণের মাঝে তুলে ধরতে এক কর্মি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ- কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না গিয়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চাই। তারা গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চাই। বিএনপি জামায়াতের চক্রের দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে। বিএনপি জানে তাদের দুর্ণীতি, দুঃশাসন আর জন বিচ্ছিন্নতার কারণে জনগণ তাদের ভোট দিবে না। তাই তারা কালো রাজনীতি বেছে নিয়েছে। বিএনপির রাজনীতি কি জানেন? বিএনপির রাজনীতি হলো আগুন সন্ত্রাসের রাজনীতি, বিএনপির রাজনীতি মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করার রাজনীতি, বিএনপির রাজনীতি পুলিশ মেরে ফেলার রাজনীতি। বিএনপির রাজনীতি হসপিটালে অগ্নি সংযোগের রাজনীতি, বিএনপির বিচার বিভাগের উপর হামলার রাজনীতি, বিএনপির রাজনীতি সাংবাদিক ভাইদের মারার রাজনীতি, বিএনপির রাজনীতি আনসার ভাইদের মেরে ফেলার রাজনীতি। বিএনপির রাজনীতি এখন প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলার রাজনীতি। যাদের হত্যা করেছে তাদের স্বজনরা কি এসব ভূলে যাবে। মানুষ কি এদের ভোট দেবে? দেবে না। তাদের জন্য রয়েছে বাংলার মানুষের ঘৃনা। এই কারণে তারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে চাই না। সাংবাদিক পুলিশের উপর হামলা করে বিএনপির মন ভরেনি। এখন আবার অবরোধ দিয়েছে। আজকে সারাদিন চুয়াডাঙ্গায় ঘুরলাম। চুয়াডাঙ্গা থেকে ভাংবাড়িয়া আসলাম, কোথাও অবরোধ হয়নি। অবরোধে পরিবহনের সংখ্যা বেড়েছে। আজকে বিএনপি নির্মম ভাবে একজন পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। একটা সভ্য সমাজের মানুষ এই কাজ করতে পারে?? তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট বলেছেন এদেশে অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। সাহস থাকলে নির্বাচনে আসেন। জনগণ ভোট দিলে আপনারা ক্ষমতায় যাবেন। তাছাড়া সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে কোন লাভ হবে না। লন্ডনে বসে তারেক জিয়া ষড়যন্ত্র করছেন,সাহস থাকে দেশে আসেন। আওয়ামীলীগ এদেশের গণ মানুষের সরকার, খেটে খাওয়া মানুষের সরকার। আওয়ামীলীগ উন্নয়নের সরকার। আওয়ামীলীগ সরকার পদ্মা সেতু করেছে, মেট্রোরেল করেছে, কর্ণফুলি ট্যানেলে প্রবেশ করেছে। এলিভেটেটে এক্সপ্রেস ওয়ে করেছে, হাইটেক পার্ক করেছে, রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে স্বপ্ন দেখেছে, ৪১ সালের মধ্যে তা পূর্নাঙ্গ রুপ নেবে। জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আবারও ক্ষমতায় আসবে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে সুযোগ দেয়, আমাকে যদি আপনারা নির্বাচিত করেন, তাহলে আমারও একটা স্বপ্ন আছে। আমি চুয়াডাঙ্গাকে স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আপনারা এখানে যারা উপস্থিত আছেন তারা সবাই নৌকায় ভোট দিবেন। যদি আমি নৌকা নাও পাই, আমি আপনাদের নিয়ে, যিনি নৌকা পাবেন, আমরা সবাই নৌকায় ভোট দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে একসাথে কাজ করবো। কুমারি ইউনিয়ন কৃষকলীগ নেতা একরামুল হক বুলুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, ৭১’র অগ্নিসেনা বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈনদ্দীন পারভেজ, ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম দিপু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন সম্পাদক হাজী রবিউল হক, খাদিমপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মন্ডল। জেলা কৃষকলীগ নেত্রী সামসাদ রানু,আরও উপস্থিত ছিলেন বেলগাছি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান, কুমারি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক, জামজামি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা রিপন শাহ, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য তপন কুমার বিশ্বাস,ওয়াচকুরুনি, জেকের আলী, আজিজুল হক, তপন বিশ্বাস প্রমুখ।।
Leave a Reply