ফয়সাল,আলমডাঙ্গা থেকে ॥ চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি তৃণমূল পর্যায়ে অবহেলিত আওয়ামী লীগের কর্মীদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শিল্প ও বানিজ্য ও বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। গতকাল ১ অক্টোবর আলমডাঙ্গা উপজেলা মঞ্চে বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বিশাল জনসভার আয়োজন করা হয়। সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাউছার আহমেদ বাবলুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।তিনি বলেন, বর্তমান দেশের প্রেক্ষাপট জটিল আকার ধারণ করেছে। একদিকে আন্তর্জাতিক চাপে সরকার ক্ষতবিক্ষত।দেশের উন্নয়ন কে বাঁধাগ্রস্ত করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা আদায় করার পাঁয়তারা করছেন বিরোধী দল। আগামী নির্বাচন কে হাতিয়ার করে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে দেশের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। অন্যদিকে দেশের বিরোধী গোষ্ঠী বিদেশী মদতে নির্বাচন কে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক মনোভাবে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশকে ক্ষুধামুক্ত,দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে চলেছেন। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকায় সরকারি প্রতিটি দপ্তরে দূর্ণীতি গ্রাস করেছে সুবিধাবাদীরা।তিনি আরও বলেন বিএনপি জামাত গত ২০১৪ সালে সারা দেশে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তারা দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দবতে চেয়েছিল,তারা ৬০ টি ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল,১৫০ টি বাসে,৩৫ টি শিক্ষা প্রতিষ্টানে,৪০ টি অফিসে শতাধিক মটর সাইকেলে আগুন ধরিয়েছিল,বাসে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে,দুই শতাধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়,কয়েকজনকে লোহার রড,হেলমেট দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলেছে,তারা সারা দেশে আগুন সন্ত্রাস সৃষ্টি করে ভয়বহ অবস্থার সৃষ্টি করে। যে কারনে মানুষ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারা জনগনকে বিশ্বাস করে না, যে কারণে ভোট করতে চাইনা, তারা পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায়।আওয়ামীলীগ নির্বাচন দেখে ভয় পাই না,কারন বিএনপি ক্যান্টনমেন্টে জন্ম হয়েছে,কিন্ত আওয়ামীলীগ এদেশে ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬ র ৬ দফা,৬৯ এর গণআন্দোলন ৭০ এর নির্বাচন প্রায় ২৩ বছর পাকিস্থানের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে ৭১ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দেন। তার নেতৃত্বে আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র লাভ করি। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চোখ রাঙিয়ে কোন লাভ হবে না। আসুন জননেন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলকে শক্তিশালী করতে সকলে আওয়ামী লীগের পতাকা তলে ঐক্যবদ্ধ হই। দিলীপ কুমার আরো বলেন যারা নৌকা বেচে দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে নৌকাকে হারিয়েছে,তারা নৌকা চায় কোন লজ্বায়? সভাপতি কাউছার আহমেদ বাবলু বলেন, দীর্ঘদিন থেকে লক্ষ করা গেছে অবহেলিত, নির্যাতিত কর্মীদের আশ্রয় দিয়ে আওয়ামী লীগের সংগঠন কে সমতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। তৃণমূল পর্যায়ে অবহেলিত নেতাকর্মীদের আশ্রয়ে প্রতিনিধিত্ব করে আসছে আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ,সাবেক চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান,গোলাম ফারুক,আলমডাঙ্গা কুমারি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, নির্যাতিত আওয়ামী লীগের কর্মীদের নিয়ে আলমডাঙ্গা স্বেচ্ছাসেবক লীগ গড়ে উঠেছে। সুবিধা বঞ্চিত অসহায় আওয়ামী নেতা কর্মিরা একছাতার নীচে জড়ো হয়ে দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে নেতা বানিয়েছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সব চেয়ে দূর্ণীতিগ্রস্ত এমপি, মন্ত্রী, কিংবা আমলাদের ছাটাই করতে। বর্তমানে দেশের উন্নয়নের ছোঁয়া অব্যাহত রাখতে দিলীপ আগরওয়ালার মত সৎ ও ধনবান ব্যাক্তির আজ বড় প্রয়োজন। চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও মোমিনপুর ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দার বলেন, দিলীপ আগরওয়ালার মত সুযোগ্য, সৎ ও শক্তিশালী ধনবান, সুকৌশলী উদার মনের মানুষ কে আজ বড় প্রয়োজন। আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কাজী রবিউল হক বলেন, কেউ কেউ আমাদের নেতাকে গুন্ডা মাফিয়া বল্লেও কাজের ক্ষেত্রে দেখা যায় উদারতা,মানুষের প্রতি অসীম ভালোবাসা। মানুষের কষ্টে তার প্রান কাঁদে। একটা সময় পর্যাপ্ত অর্থ জমা হলে মানব সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চাই। দিলীপ আগরওয়ালা সেই রকম একজন ধনবান ব্যাক্তি। যিনি সকল লোভ লালসার উর্দ্ধে থেকে জনগনের সেবা নিশ্চিত করবে। তিনি আরো বলেন, আমি পরিশেষে বলতে চাই দিলীপ বাবুর মত এমন শত্রুদের দেওয়া খেতাব মাফিয়া বাংলার ঘরে ঘরে যেন জন্ম নেয়। আশা করি তার হাত ধরে আগামী দিনে স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়ে উঠবে। তৃণমূল পর্যায়ে অবহেলিত আওয়ামী লীগের কর্মীদের আশ্রয়স্থল দিলীপ কুমার আরওয়ালা। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,সাবেক জেলা বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খাঁন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনদ্দিন পারভেজ (অগ্নি সেনা), সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, আবু তাহের বিশ্বাস, গোলাম ফারুক, জিল্লুর রহমান, কাজী রবিউল হক, সাখাওয়াত হোসেন, নুরুল ইসলাম দিপু মাষ্টার, রানা মন্ডল, রিপন শাহ,আনিছ ডাক্তার,রাজু আহমেদ,আবু তালেব,কামাল হোসেন,মিজানুর রহমান,শরিফুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, কমল কুমার, বাবুলাল দোবে, হীরা লাল, রুহুল বিডিআর, মোয়াজ্জেম হোসেন, তপন কুমার বিশ্বাস, মাহবুবুর রহমান, ডাঃ সিরাজুল ইসলাম , আক্তারুজ্জামান, আশরাফুল,আব্দুল হালিম মন্ডল,আব্দুল খালেক সহ হাজার হাজার নেতা কর্মীর উপস্থিতিতে জনতার ঢল নেমেছিল সভাস্থলে
Leave a Reply