কাগজ প্রতিবেদক ॥ কুষি।টয়া কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে শোকের মাসে জামায়াত-বিএনপির নেতা কর্মিদের নিয়ে সভা-সমাবেশ করার অভিযোগ উঠেছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার সাথে সখ্যতাও বেড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

জানা যায়, টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। দলটি দীর্ঘদিন ধরে রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলেও শান্তিতে নেই পেকুয়া-চকরিয়া আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দল করলেও অনুপ্রবেশকারী-হাইব্রিড নেতাকর্মীদের ভিড়ে প্রকৃত নেতাকর্মীরাই এখন কোনঠাসা। ৮ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জামাত-শিবিরের তান্ডবের দুর্গ গড়ে তুলেছে বলে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাত বার্ষিকী ও ১৫ ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে এলাকার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বিএনপি-জামাত-শিবিরের ঘাতক দালালদের নিয়ে শোডাউন দেয়। কুষ্টিয়া-৪ আসনের বর্তমান এমপির নামে যে ১৭৪টি মামলা দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছিল সেইসব মামলায় চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে দাঁড় করানো হয়েছে। বেশির ভাগই মামলা জামাত-শিবিরের লোকজন দিয়ে আওয়ামী লীগের লোকের উপর করানো হয়েছে,, যার দায়ভার জেলা কমিটি, উপজেলা কমিটির না নিয়ে ১৫ ই আগস্ট এর ঘাতক দালালদের পক্ষ নিয়ে তাদের সাথে নিয়ে, আজ আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের হয়রানি করে চলেছে। এই উপজেলা কমিটির পক্ষ থেকে যদু বয়রা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজান। জামাত-শিবিরের নামে কোন মামলা হবে না এই আশ্বাস দিয়ে,, তাদেরকে দিয়ে সমাজের সমস্ত অকর্মক কুকর্ম নির্দ্বিধায় নির্বিঘ্নে কাজ করে চলেছেন। আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতারা আজ বর্তমান এমপি সেলিম আলতাব জজের সাথে একত্ব ঘোষণা করার কারণে তারা আজকে চরম বিপদে আছে। একটি দায়িত্বশীল সুত্র জানিয়েছে, চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মিদের পরিবর্তে জামায়াত-বিএনপির নেতা কর্মিদের নিয়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করছেন। সুত্রটি জানায়, তিনি দীর্ঘদিন থেকে জামায়াতের আমীর, বিএনপির সহ-সভাপতিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মিদের পাশে বসিয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ মিটিং করে আসছেন। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি একজন ছাত্রীলীগ কর্মি। বিগত দিনে নির্বাচনে যারা আমার বিরোধীতা করেছিল তারাই এখন এসব অপ্রচার চালাচ্ছে। জামায়াত আমীর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওইটি ছিল সরকারী প্রোগ্রাম। সেখানে বলা হয়েছিল সমস্ত ইউনিয়ন পরিষদে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে মার্চের অনুষ্ঠান করার। উনি একটি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ওখানে তাকে কোন রাজনৈতিক পরিচয়ে বসানো হয়নি। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে বসেছেন। এ সব অপপ্রচার।
Leave a Reply