কুমারখালী প্রতিনিধি ॥ বাড়ির পাশেই ভূট্টা খেত। খেতে কাঠবিড়ালির বেশ উপদ্রব। কাঠবিড়ালি মারতে খেতে আঁখের গুড়ের সাথে বিষ মিশিয়ে মিষ্টি বানিয়ে রেখেছে এক কৃষক। খেলার ছলে সেই মিষ্টি খেয়ে এক শিশু মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এঘটনায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরো এক শিশু।
বৃহস্পতিবার সন্ধায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামের কৃষক আবু তালেবের ভূট্টা খেতে এঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই এলাকার ইবাদুল হোসেনের মেয়ে নোভা খাতুন (৩) এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু একই এলাকার সাইদুল ইসলামের ছেলে মো. সায়োম (৩)। তাঁরা দুজনে সম্পর্কের চাচাতো ভাই বোন। পুলিশ, হাসপাতাল ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, কৃষক আবু তালেব ভূট্টা খেতে কাঠবিড়ালি মারার জন্য গুড়ের সাথে বিষ মিশিয়ে গোল গোল মিষ্টি বানিয়ে রেখেছে। বৃহস্পতিবার শেষ বিকেলে বাড়ির পাশে অবস্থিত ওই খেত থেকে শিশু নোভা ও সায়োম মিষ্টি খায়। মিষ্টি খেয়ে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়ে স্বজনরা তাঁদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। সেখানকার চিকিৎসক নোভাকে মৃত ঘোষণা করে এবং সায়োমকে ভর্তি করে। সায়োম বর্তমানে আশঙ্খা মুক্ত বলে জানা গেছে। এবিষয়ে নিহত শিশুর দাদা বসির উদ্দিন বলেন, বাড়ির পাশের ভূট্টা খেত থেকে বিষ মিশানো মিষ্টি খেয়ে নোভা মারা গেছে। আর সায়োম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। অভিযুক্ত কৃষক আবু তালেব মুঠোফোনে বলেন, তাঁর ফসলে কাঠবিড়ালের উপদ্রব। তা নিধনের জন্য তিনি আঁখের গুড়ের সাথে বিষ মিশিয়ে রেখেছেন। কিন্তু এভাবে দুর্ঘটনা ঘটবে তিনি তা বুঝতে পারেনি। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম বলেন, একজন শিশু হাসপাতালে পৌছানোর পূর্বেই মারা গিয়েছিল। অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সে বিপদমুক্ত আছে। কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, ভূট্টা খেতের কাঠবিড়ালি মারা বিষপানে এদুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply