খোকসা প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী কালীপূজা মেলায় পুণ্যার্থীরা সর্বস্ব হারিয়ে বাডি ফিরছে। শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার বিসর্জন পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন পুণ্যার্থী কালী মায়ের মানসা দিতে গিয়ে নিজেদের মূল্যবান সম্পদ গলার স্বর্ণের হার, কানের দুল , অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সহ অন্যান্য সম্পদ হারিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পুণ্যার্থীরা অভিযোগ করছে পূজা উদযাপন কমিটি ও পুলিশ প্রশাসনের উদাসীনতায় দুষ্ট চক্র সুপরিকল্পিতভাবে মন্দির প্রাঙ্গণে ছিনতায়ের মতন কার্যক্রম পরিচালিত করেছে। যদিও পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে মন্দির এলাকায় সংরক্ষিত ও সিসি ক্যামেরার আওতায়। অথচ একাধিক মৌখিক ও লিখিত অভিযোগ থানায় জমা দিলেও পূজা উদযাপন কমিটি ও পুলিশ প্রশাসন কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি। খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, চুরি ছিনতাই এর কয়েকটি ঘটনা জেনেছি। তাৎক্ষণিক অভিযানে দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তারা বেদে সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় পরে ছেডে দেওয় হয়েছে। এদিকে ছিনতাই হওয়া তিন জন মহিলার মধ্যে খোকসা বিষ্ণুপিয়া (৬০), মাগুরা শ্রীপুর থানার উন্নতি দেউডি (৪৫) ও কুমারখালী উপজেলার ধলনগর গ্রামের কৃষ্ণ মালতি (৬২) ক্ষতিগ্রস্ত তিনজন লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ করেছে থানা ও পূজা উদযাপন কমিটির কাছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তেমন কোনো প্রতিকার তারা পায়নি বলে প্রকাশ করেছেন। অপরদিকে কালীবডি পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনারা বলেন মন্দির প্রাঙ্গণে কোন চুরি ছিনতাই বা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি এবং কোনো অভিযোগ আসেনি বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। পনে ৬’শ বছরের ঐতিহ্য বহনকারী খোকসা কালীবাঢিডপূজা উদযাপনে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও এবছর তার ব্যতিক্রম। দূর দুরান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা মানসা দিতে এসে নিজেদের মূল্যবান সম্পদ ও অলংকার হারিয়ে তীব্র ক্ষোভ ও ধিক্কার জানিয়ে কালিবাডি ত্যাগ করেন। পুলিশ প্রশাসন ও পূজা উদযাপন কমিটির এমন উদাসীনতায় আগামীতে কালী পূজা কতটুকু পুণ্যার্থীরা আসবে সেটাই এখন বিবেচ্য বিষয় ।
Leave a Reply