কাগজ প্রতিবেদক ॥ কুষ্টিয়ার মিরপুরে আটিগ্রাম নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় নৈশ প্রহরী নিয়োগে প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান এর বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
এনআইডি জালিয়াতি করে বয়স সংশোধন সম্পন্ন করে নতুন ভোটার আইডি কার্ড তৈরি সহ ভুয়া সার্টিফিকেট এবং এড হক কমিটির সময় নিয়োগ প্রক্রিয়া দেখিয়ে নৈশ প্রহরী নিয়োগের বিস্তর অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এছাড়াও পত্রিকায় ব্যাকডেটেড বিজ্ঞাপন সম্পন্ন করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, প্রথমেই প্রার্থীর বয়স জালিয়াতি জন্য এনআইডি সংশোধন করার অভিযোগ রয়েছে। যেখানে প্রমাণস্বরূপ প্রতিবেদকের হাতে উঠে এসেছে স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্রে সুপার এডিটের মাধ্যমে ১৯৮৮ সাল থেকে বয়স কমিয়ে ১৯৯০ করা হয়েছে। উক্ত এডিটেড এনআইডি দ্বারা ছাতিয়ান ইউনিয়ন থেকে ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়ে তা পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন আমলা ইউনিয়ন থেকে সম্পন্ন করে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে ছাতিয়ান ইউনিয়নে জন্ম ও বসবাস একই ইউনিয়নে কিন্তু অন্য কিভাবে জন্ম নিবন্ধন করল এবং এনআইডি কারেকশন করল? ত্রুটিপূর্ণ এনআইডি দিয়ে কিভাবে একজন একটি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ লাভ করতে পারে বলে প্রশ্ন উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ২০২১ সালের নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিতে জাহিদ হাসান কে নৈশ প্রহরী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যেখানে প্রতিষ্ঠানটিতে ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোন পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই তবে এই সময়ের মধ্যে কিভাবে তার নিয়োগ সম্পন্ন হল। অপরদিকে নৈশ প্রহরী নিয়োগে জাহিদ হাসান ছাতিয়ান মাধ্যমিক বিদ্যালয় অষ্টম শ্রেণির সার্টিফিকেট ব্যবহার করেছে । কিন্তু ছাতিয়ান মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জানা যায় জাহিদ আসার নামে কোন ছাত্রই তাদের প্রতিষ্ঠানে ছিল না এবং তাকে উক্ত সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় নাই।
জানাগেছে, ব্যাকডেটে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে সে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জার ফলশ্রুতিতে স্থানীয়রা পত্রিকার অরজিনাল কফি দেখাতে ব্যর্থ হবে বলেও আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কারা পরীক্ষা দিয়েছে এবং পরীক্ষার খাতা পত্র সংরক্ষিত রয়েছে কিনা এটি নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তারা বলছের নিয়োগ বিঞ্জপ্তির পেপার তদন্ত ও তার বয়স তদন্ত করলেই সব বের হয়ে আসবে। দ্রুত দদুক ও জেলা শিক্ষা অফিসার ব্যবস্থা নিলেই সঠিক ঘটনা বের হয়ে আসবে। ছাড়াও উক্ত প্রতিষ্ঠান যেহেতু নিম্ন মাধ্যমিক তাই সরকারি বিধি মোতাবেক প্রতিষ্ঠানটির লাইব্রেরিয়ান পদে নিয়োগ দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। কিন্তু বিদ্যালয়টির শিক্ষক তালিকায় কিভাবে লাইব্রেরিয়ান পদে একজনকে নিয়োগ নিয়োগ লাভ করেন তা নিয়েও প্রধান শিক্ষক এর বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক আব্দুল নিয়োগ দেবার বিষয়টি স্বীকার করে প্রতিবেদককে জানিয়েছিলেন দুইটি পদে নিয়োগ দিয়ে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছিল এবং সেই টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের জমি কেনা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিবেদকের বিকাশ নাম্বার চেয়ও প্রলোভন দেখানো হয় যেনো সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকা হয়।
Leave a Reply