1. nannunews7@gmail.com : admin :
November 8, 2025, 6:57 pm

বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষে চলছে এনজিও’র কার্যক্রম

  • প্রকাশিত সময় Monday, November 25, 2024
  • 65 বার পড়া হয়েছে

কুমারখালীর জেএন (যোগেন্দ্রনাথ) পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়

কাগজ প্রতিবেদক ॥ কুষ্টিয়ার কুমারখালীর জেএন (যোগেন্দ্রনাথ) পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেনী কক্ষ এনজিও’র কাছে ভাড়া দিয়ে আর্থিক সুবিধা ভোগ করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
সোমবার সরেজমিনে গেলে প্রধান শিক্ষক সাংবাদিকদের ছবি তুলতে ও ভিডিও ধারণে বাধা সৃষ্টি করেন এবং এক পর্যায়ে বিদ্যালয় থেকে পালিয়ে যান। জেনএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ তলার শ্রেণি কক্ষ তালাবদ্ধ অবস্থায় জানালা দিয়ে দেখা যায় ব্লাক বোর্ডের জায়গায় দিশা স্বেচ্ছাসেবী আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও মানবিক কল্যাণ সংস্থা ও সার্বিক সহযোগিতায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর ব্যানার লাগানো এবং টেবিলের উপর বেশ কিছু ফাইল পত্র রাখা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২ সাল থেকে প্রতিষ্ঠান প্রধান মো. মখছেদুর রহমান শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষ এনজিও’র কাছে ভাড়া দিয়ে আর্থিক সুবিধা ভোগ করছেন। বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক বা শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে কোনভাবেই মুখ খুলতে রাজি হননি। অপরদিকে প্রধান শিক্ষকের নিকট শ্রেণিকক্ষে এনজিও’র ব্যানার ও টেবিলে ফাইল রাখার বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে কোন সদুত্তর দেননি। ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে গেলে বাধা সৃষ্টি করেন, এক পর্যায়ে তিনি বিদ্যালয় থেকে পালিয়ে যান।
বিদ্যালয়ের কক্ষ এনজিওর নিকট ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মখছেদুর রহমান বলেন। স্কুল সামাজিক প্রতিষ্ঠান স্কুলকে সামাজিক বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছিলো। সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে শুক্রবার ও শনিবার এনজিওর কার্যক্রম চলে। এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি না হলেও চলে এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধান নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে ১৮ থেকে ৩৫ বছরের ছেলে মেয়েদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আমি নিজেও সেখানে মোটিভেশনাল ক্লাস করায় যার বিনিময়ে আমাকে কিছু অনারিয়াম দেওয়া হয় এনজিওর পক্ষ থেকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন অভিভাবক জানান, দীর্ঘদিন ধরে এনজিও’র লোকজন চতুর্থ তলায় উঠে মিটিং করতে দেখা যায়। এটা বিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কোন বিষয় বলে জানেন তারা। শ্রেণী কক্ষ এনজিও’র কাছে ভাড়া দেওয়ার বিষয়টি তাদের জানা নেই বলে উল্লেখ করেন।
স্থানীয় বিশিষ্ট জনেরা বিষয়টি জানার পরে তারাও বলছেন একটি বিদ্যালয়ে কিভাবে দীর্ঘদিন ধরে এনজিওর কার্যক্রম চলতে পারে।যে বা যারা এই বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এধরনের কার্যক্রম করতে সহযোগীতা করেছে এবং সুবিধা নিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.নাজমুল হক জানান, তিনি কুমারখালীতে সদ্য যোগদান করেছেন যেকারণে বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাঈল ইসলাম বলেন বিষয়টি আমার জানা ছিলো না আপনাদের মাধ্যমে জানার পরে আমি প্রধান শিক্ষককের নিকট জানতে চেয়েছি এবং ব্যাখ্যা চেয়েছি উনি আমাকে জানানোর পরে পুরো বিষয়টি আপনাদের জানাতে পারবো এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবো।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও সংবাদ
© All rights reserved © 2020 Kushtiarkagoj
Design By Rubel Ahammed Nannu : 01711011640