বশিরুল আলম,আলমডাঙ্গা থেকে ॥ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা নামল ১৫ ডিগ্রীতে। ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে বেশ শীত অনুভূত হচ্ছে। ভোরের কুয়াশায় শুভ্র শিশির দোল খাচ্ছে ঘাসের ডগায়। আগের থেকে তাপমাত্রা নেমে বাড়ছে শীতের অনুভব। আর এই শীত মৌসুমে খেজুর গাছ থেকে সুস্বাদু রস আহরণের লক্ষ্যে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৌসুমি গাছিরা। আর কয়েকদিনের মধ্যে বাজারে উঠবে খেজুর গুড়। গতকাল সকাল ৯ টায় চুয়াডাঙ্গায় ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত শনিবার ১৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা গতকালের তাপমাত্রা চলতি মৌসুমে এটিই জেলার সর্বনিম্ন। এদিকে, শীতের শুরুতেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে বেড়েছে শীতজনিত রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শিশু ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়াসহ শীতজনিত বিভিন্ন রোগে হাসপাতালের আউটডোরে তিন হাজারের বেশি বয়োবৃদ্ধরা চিকিৎসা নিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন।তিনি বলেন, শীতজনিত কারণে রোটা ভাইরাসে শিশু ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে। নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যাও ব্যাপকহারে বাড়ছে। এছাড়া শীতজনিত কারণে হাসপাতালের আউটডোরে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ শিশু-বয়োবৃদ্ধ রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। সাজেদুল ইসলাম নামের এক শ্রমিক বলেন, সন্ধার পর থেলে ভালোই শীত অনুভব হচ্ছে। ভোরে তীব্রতা বাড়ছে। কয়েকদিনের মধ্যে শীতের তীব্রবা আরও বাড়বে। বাড়িতে প্রায় সদস্য ঠান্ডা-জ্বরে আক্রান্ত।

বেসরকারি স্কুল শিক্ষক আঃ রাজ্জাক বলেন, মোটামুটি শীত ভালোই পড়ছে। এক কথায় বলা যায় শীত পড়ে গেছে। কয়েকদিন শীতের গরম কাপড় পড়েই স্কুলে আসতে হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যৈষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন,গতকাল রোববার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫দশমিক ৮ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রতিদিন ১-২ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমবে।