কাগজ প্রতিবেদক ॥ ২৫০শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ০৩নং মহিলা মেডিসিন বিভাগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে কয়েকজন তরুন/যুবক অচেতন ও অজ্ঞাত এক নারীকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন। জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক অগত্যা চিকিৎসা দেয়ার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করে নেন। সেই থেকে আজও পর্যন্ত এই (রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত) অচেতন অবস্থায় হাসপাতালের হান্ডিখানার করিডোরে পড়ে আছেন অজ্ঞাত এই নারী। আশপাশের অন্যান্য রোগীদের স্বজনরা নানা ভাষায় রোগীটির দুরাবস্থার বিবরণ দিচ্ছেন এবং একটা কাঙ্খিত সুরাহার দাবিও করছেন কেউ কেউ। বিষয়টি গণমাধ্যমে তুলে ধরে সহযোগিতার আবেদন করেন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড ট্রাস্ট ব্লাস্ট কুষ্টিয়ার সমন্বয়ক এবং একজন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট।
এ বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মাহফুজুর রহমানও অজ্ঞাত এই রোগীটির সুন্দর সুরাহার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেই জানালেন, গত ১০ দিন ধরে স্বজনহীন অজ্ঞাত রোগীটিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য চিকিৎসা দিচ্ছেন। এই অবস্থায় গত ১০দিন ধরে টিকে থাকা রোগীকে সঠিক পরিচর্যায় রাখতে পারলে হয়ত চিকিৎসায় ভালো হয়েও উঠতে পারতো। কিন্তু স্বজনহীন হওয়ায় রোগীটির সঠিক কেস হিষ্ট্রি আমরা নিতে পারছিনা। এমুহুর্তে রোগীটির জন্য পরিচয় সনাক্তসহ স্বজনদের উপস্থিতি খুব বেশি দরকার। তাহলে হয়ত আমরা সর্বোচ্চ প্রত্যাশিত ও প্রয়োজনীয় উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থাও করতে পারবো।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, ‘গত ১০দিন ধরে হাসপাতালের আয়োজনে নানা ভাবেই এই অজ্ঞাত রোগীকে সাপোর্ট দেয়া হচ্ছে। আমরা স্যোস্যাল মিডিয়াতেও তার ছবিসহ সংক্ষিপ্ত বিবরন তুলে ধরেছি যাতে রোগীর আত্মীয় স্বজনরা তাকে সনাক্ত করতে পারেন। কিন্তু এরই মধ্যে পেরিয়ে গেছে ১০। সঠিক পরিচর্যা না থাকায় এভাবে থেকে রোগীর আরও কোন জটিলতাও সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা সাধ্যানুযায়ী চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি।
Leave a Reply