দৌলতপুর প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়া ক্রসফায়ারে তিন বিএনপি কর্মী নিহতের ছয় বছর পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে দৌলতপুর থানায় পৃথকভাবে তিনটি মামলার এজাহার জমা দেন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। একটি মামলায় কুষ্টিয়ার সাবেক পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাতসহ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। এ সময় দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির নেতারা তাদের সাথে ছিলেন। জানা গেছে ২০১৮ সালের ৮ মে যুবদল কর্মী আলতাব হোসেন পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হন। ২০২০ সালের ২৫ জুলাই ক্রসফায়ারে নিহত হন বিএনপি কর্মী কুদরত আলী। এছাড়া ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর পুলিশের ক্রসফায়ারে নিহত হয় বিএনপি কর্মী মদন আলী। এই তিন পরিবারের পক্ষ থেকে সোমবার দৌলতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমানের কাছে পৃথক তিনিটি এজাহার দাখিল করা হয়। মামলায় কুষ্টিয়ার তৎকালীন পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ দারা খান, আরিফুর রহমান ও ইন্সপেক্টর নিশিকান্ত সহ বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া এসব মামলায় আসামী হয়েছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। এজাহার দাখিলের সময় বাদীদের সাথে দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু সহ স্থানীয় বিএনপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এজাহার দায়েরের পর ক্রসফায়ারে নিহত মদন আলীর ভাই ও মামলার বাদী কদম আলী সাংবাদিকদের বলেন, আমার ভাই মদন আলী বিএনপি করত। আওয়ামীলীগের লোকজন তাকে আওয়ামীলীগের যোগ দেয়ার জন্য চাপ দিতো। কিন্তু সে তাতে রাজি না হওয়ায় আওয়ামীলীগের নেতারা বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশকে দিয়ে ক্রসফায়ারে দিয়েছে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু জানান, বিগত ১৫ বছর মামলা করার মত কোন পরিবেশ ছিল না। বর্তমানে দেশে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হয় তারা এসব মামলা দায়ের করেছে। সারা দেশে গুম খুনের ঘটনায় মামলা করা হচ্ছে। তাই কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে পরামর্শ করে এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে। দৌলতপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, পুর্বের ঘটনায় তিনটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে। আমি এজাহারগুলো গ্রহন করেছি। উর্ধ¦তন কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply