ওলি ইসলাম, ভেড়ামারা থেকে ॥ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় দূধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার মোকারিপুর ইউনিয়নের সজনেতলা বটগাছ ও বাঁকাপুলের মাঝখানে শিমুলতলা নামক জায়গায় এই দুর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে। ভেড়ামারা থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে উপজেলার মোকারিমপুর ইউনিয়নে গত এক মাসে গভীর রাতে দুইবার ডাকাতি সংগঠিত হলো। গত ২৫শে সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত ভোররাত ৪টার দিকে একই ইউনিয়নের চাঁদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো: আবু জাহিদ ডাকাত দলের কবলে পড়েন বলে জানিয়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী জাহিদের কাছে থেকে জানা যায়,জাহিদ বুধবার দিবাগত রাতে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। জাহিদ রাত ৩ টা ৪০ মিনিটে তার মা আফরোজা খাতুন, বড় ভাই শহীদ হোসেন ও অটোচালক সানোয়ারকে নিয়ে তার বাড়ি থেকে রওনা দেয়। ২০ মিনিট অটোতে যাওয়ার পর ভোররাত ৪টার দিকে শিমুলতলা নামক জায়গায় মুখোশধারী ৫ জনের ডাকাতদল কলার গাছ ফেলে তাদের গাড়ির গতি রোধ করে। মুহূর্তের মধ্যে তাদেরকে অটো থেকে নামিয়ে শারীরিক নির্যাতন করতে করতে টেনে হিছড়ে পশ্চিম পাশের ফাঁকা মাঠের মধ্যে নিয়ে যাই। অসুস্থ অবস্থায় তাকেও বেদম প্রহার করে।এর মধ্যে একজন অটো গাড়ি নিয়ে চলে যায়। বাকি চারজন তাদেরকে দুই ভাগে দুদিকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে তাদের কাছে যা ছিল সবকিছু কেড়ে নেয়। জাহিদের কাছে থাকা ১০ হাজার ৭০০ টাকা ও তিনটি মোবাইল তারা নিয়ে যায়। ডাকাত দল চলে গেলে জাহিদের মার কাছে থাকা বাটনওয়ালা ফোন থেকে ৯৯৯ এ ফোন দিলে কিছুক্ষণ পর ভেড়ামারা থানা পুলিশ আসে। পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে জাহিদ বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। ভুক্তভোগী আফরোজা খাতুন বলেন, তারা আমার দুই ছেলেকে খুব মেরেছে। অসুস্থ ছেলে যাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলাম তাকেও খুব মেরেছে। তারা আমাদের বারবার বলছিল যে, কথা বললেই মেরে ফেলবে বলে। ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম বলেন, ডাকাতির ঘটনা হয়েছে মর্মে থানায় একটি অভিযোগ পড়েছে। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।
Leave a Reply