বশিরুল আলম,আলমডাঙ্গা থেকে: আলমডাঙ্গা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিচয়ে ইটভাটা মালিকের কাছে চাঁদা দাবি করেছে প্রতারক চক্র। শনিবার বিকেলে সকলকে সতর্ক করে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশীষ কুমার বসু। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, শনিবার দিনভর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে ওই প্রতারক চক্র। নিজেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশীষ কুমার নামে পরিচয় দেন।
তাদের মাধ্যমে খোঁজখবর নেয় ইউনিয়নে কয়টি ইটভাটা রয়েছে। তার নিকট থেকে ইটভাটা মালিকের মুঠো ফোনে জানানো হয়, তাদের ভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। তারা একেক ভাটা মালিকের নিকট বিকাশে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। ওই টাকা দিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানো হবে না। নাম না প্রকাশে এক গ্রাম পুলিশ জানান, শনিবার দুুপুরে একটি অজ্ঞাত নাম্বারে এসিল্যান্ড পরিচয়ে মুঠো ফোনে কথা হয়। তিনি ইটভাটা মালিকের নাম্বার চান এবং কয়টি ভাটা রয়েছে জানতে চান। তাকে তথ্য দেওয়ার পর জানতে পারি সে একজন প্রতারক। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা হলে তিনি সকল ইটভাটা মালিককে টাকা দিতে নিষেধ করেন।এবিষয়ে কুমারী এলাকার ইটভাটা মালিক আব্দুল মজিদ জানান, অজ্ঞাত নাম্বারে আমার কাছে এসিল্যান্ড পরিচয়ে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে আমার ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করবেন। এছাড়া একই এলাকার ইটভাটা মালিক লিংকন বলেন, দুপুরে আমার ইটভাটার ম্যানেজার মো: মিশকাতুর রহমানের নিকট মুঠোফোনে এসিল্যান্ড পরিচয়ে বিভিন্ন হুমকি দেয়। একপর্যায়ে আমার বাবার সাথে কথা হলে তিনি ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, চাঁদা দাবির ঘটনাটি ইউএনও মুঠো ফোনে আমাকে জানিয়েছে। যে নাম্বার দিয়ে টাকা দাবি করা হয়েছে ওই নাম্বারটি তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রতারক চক্র শনাক্ত করা হবে।
Leave a Reply