আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি ॥ বেতন ভাতা না দিয়ে রেজিস্ট্রি খাতায় স্বাক্ষর, পরিষদের আয়-ব্যায়ের হিসাবে অসঙ্গতিসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মকলেছুর রহমান সিলনের বিরুদ্ধে ১২ জন ইউপি সদস্য অনাস্থা জানিয়েছেন।
গতকাল বিকেলে সকল সদস্যদের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অনাস্থা প্রস্থাব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে।অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেন ইউপি সদস্য আরিফা খাতুন, লাভলী খাতুন, পিনজিরা খাতুন, রহিদুল হক, মঞ্জুরুল করিম লিপন, জসিম উদ্দীন, আহসান হাবিব, হাসেম মাহমুদ ও লিপন হোসেন।লিখিত ওই প্রস্তাবে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান সিলন তাদের হুমকি-ধামকি ও ভয় দেখিয়ে বকেয়া ৫ মাসের বেতন না দিয়ে রেজিস্ট্রি খাতায় স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের করে দেন। সকল ওয়ার্ড সদস্যকে তার ওয়ার্ডের সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত করেন। এছাড়া সকল ওয়ার্ড সদস্যদের সম্মানী ভাতা বকেয়া রাখলেও চেয়ারম্যান সিলন তার ক্ষমতাবলে (আগস্ট-২৪) পর্যন্ত তার সম্মানী নিয়ে নেন। ট্যাক্সসহ বিভিন্ন খাত থেকে আয়-ব্যায়ের হিসাব মাসিক সভায় উত্থাপন না করে পেশি শক্তির ভয় দেখিয়ে মাসিক সভায় স্বাক্ষর করিয়ে নেন।তিনি পরিষদের টাকায় কেনা বিভিন্ন মালামাল নিজের বাড়িতে ও যুবলীগের অফিসে ব্যবহার করছেন। তার এ ধরনের আচরণে পরিষদের সদস্যবৃন্দ কোনো কূলকিনারা পাচ্ছেন না। অভিযোগপত্রে সকল ওয়ার্ড সদস্যদের বকেয়া সম্মানী পাওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা এবং চেয়ারম্যানের নানাবিধ অসঙ্গতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস বলেন, ১২ ইউপি সদস্যদের অনাস্থা প্রস্তাবের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অনাস্থাপত্রের বিষয়ে সরকারি বিধি মোতাবেক তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এবিষয়ে জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান সিলনের ব্যাক্তিগত ফোন নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
Leave a Reply