ইবি প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী নিয়োগ ও ভর্তি পরীক্ষায় অনিয়ম দুর্নীতিসহ নানা অনিয়ম মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে আবারও। তার সাথে পাল্লা দিয়ে প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে। তিনি সঠিক ভাবে প্রশাসনের কোন দায়িত্ব পালন করেন না। শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আবাসিক বরাদ্দের আহবায়ক তিনি, সময় মতো বাসা বরাদ্দের মিটিং করেন না এবং বরাদ্দ দেন না। বাসা বরাদ্দ নিয়ে ইবিতে চলছে নানা ঝামেলা। এছাড়াও প্রো ভিসি অধ্যাপক মাহাবুবুর রহমান নতুন ভবনের শ্রেণী কক্ষ বন্টনের দায়িত্বে থাকলেও তিনি ঠিক মতো তা বন্টন না করে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলা বাঁধিয়ে দিচ্ছেন। প্রশাসন যেন সব সময় অস্থির হয়ে থাকে সেজন্য বর্তমান ভিসির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের দিয়ে আন্দোলন করিয়েছেন এই প্রো ভিসি অধ্যাপক মাহাবুব। এমন কি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ভিসির বিরুদ্ধে আন্দোলন করানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও একটি শান্ত বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থির করেতে নানা সময় বিভিন্ন ইস্যু সৃষ্টি করে ক্যাম্পাসে আন্দোলন করিয়েছেন এই অধ্যাপক । তার বিরুদ্ধে স্বজনপ্রিতির ও এলাকার মানুষ কে অবৈধ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ আছে। বাসা বরাদ্দ নিয়ে আবাসিক শিক্ষক কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে তালা মেরে আন্দোলন করেছেন । এসব বিষয়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে ক্যাম্পাস কে অস্থির করতে চান। একটি দায়িত্বশীল সুত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি শোকাবহ আগষ্ট মাসের একটি অনুষ্ঠানে প্রোভিসি অধ্যাপক মাহাবুব রহমান বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের নাম বলতে যেয়ে রাজাকার শাহ আজিজুর রহমানের নাম বলে ফেলেন। এতে উপস্থিতদের মধ্যে দারুন ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ছাড়াও তার সহযোগী অধ্যাপক থেকে অধ্যাপক হওয়ার পদোন্নীতির সময় বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে আপত্তি থাকলেও তিনি বর্তমান ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুস ছালামের পায়ে ধরে, ম্যানেজ করে পদোন্নতি প্রাপ্ত হন এবং বর্তমানে প্রোভিসির মত একটি দায়িত্বশীল পদে আসীন হন। এ ছাড়াওশ্রেণীকক্ষে ভালো ভাবে পাঠদান পর্যন্ত করাতে পারেন না এই অধ্যাপক ড. মাহাবুবুর রহমান। নিয়োগ বাণিজ্য ও নারী কেলেঙ্কারির মতো গুতরুতর অভিযোগ আছে ইবির প্রো-ভিসি ড. মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে। কিছুদিন আগে নিয়োগ বাণিজ্যের চ্যাট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এই প্রশাসনের বিরুদ্ধে। সুন্দর নারী শিক্ষকের সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক আছে এটা ক্যাম্পাস সবার মুখে মুখে, এছাড়াও ক্রীড়া বিভাগের এক নারী কর্মকর্তা কে শিক্ষক বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ভোগ করে আসছেন এই প্রো ভিসি মাহাবুব। তিনি ব্যক্তিগত কাজে গাড়ি ব্যবহারের বিলাসীতার অভিযোগও আছেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার নিজ এলাকার একজন শিক্ষক নেতা বলেন , ইবির ইতিহাসে সব চেয়ে অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ প্রো ভিসি অধ্যাপক মাহাবুব ইবি কে অস্থির করতে আবাসিক বাসা বরাদ্দ ঠিক মতো না দিয়ে শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন। ঠিক মতো পড়াতে পারেন না এমন কথাও শোনা যায় তার নিজ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মুখ থেকে। এ সব বিষয়ে প্রো ভিসি অধ্যাপক ড. মাহাবুবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি সঠিক ভাবেই দায়িত্ব পালন করছি, একটু এদিক ওদিক হতে পারে। তাছাড়া সব ঠিক আছে। শান্ত ক্যাম্পাসকে অশান্ত করে ভিসি হটিয়ে আপনি ভিসি হওয়ার জন্যই নানা সময় ভিসি বিরোধী আন্দোলন করিয়েছেন এমন প্রশ্ন করার পরেই ফোনের লাইন কেটে দেন তিনি। এমন একজন অযোগ্য, অদক্ষ ব্যক্তি ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন এটা সকলকে হতাশ করেছে।
Leave a Reply