বশির, আলমডাঙ্গা থেকে ॥ আলমডাঙ্গার বেলগাছি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে কর্মী সভায় ছেলুন এমপি।মানবধিকারের কথা বলে স্যাংশন দিচ্ছেন, মানবধিকার কোথায় ছিল,৭১ সালে? বাংলার জনগনকে হুমকি দিয়ে কাজ হবে না,তারা লড়াই করে অধিকার আদায় করতে জানে। আলমডাঙ্গার বেলগাছি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে কর্মী সভায় এ কথা বলেন। গতকাল সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ডামোস প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ কর্মী সভার আয়োজন করা হয়। কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছেলুন জোয়ার্দ্দার ছেলুন বলেন, আওয়ামীলীগের সরকার ক্ষমতায় ঐ সব পাকিস্থানের পেতাত্মাদের গা জ্বালাপোড়া করে, তারা এখনও স্বপ্ন দেখে তাদের দোসর বিএনপি জামাত ক্ষমতায় এসে আবারও সোনার বাংলাকে পাকিস্তান বানাবে, মিয়ারা যারা জেগে, ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখছো, ভুলে যাও,১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করে মনে করেছিলে আজীবন তোমরা ক্ষমতায় থাকবা,পারো নি, সাধের সোনার পাকিস্তান বানাবা পারো নি, কারন ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা আমরা কখনই ভুলন্ঠিত হতে দেব না। তোমরা জননেন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২২/২৩ বার হত্যার চেষ্টা করেছ,খালেদা জিয়া প্রধান মন্ত্রী থেকে জামাতকে সাথে নিয়ে তার ছেলে তারেক জিয়া হাওয়া ভবনে বসে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা করেছিলে, তোমাদের মদদপুষ্টরা সেদিন হামলা চালিয়ে আজকের প্রধান মন্ত্রী জননেন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিলে, ঐদিন আইভি রহমান সহ ২২ জন আওয়ামীলীগের নেতা কর্মী নিহত হয়েছিল। সেদিন কোথায় ছিলেন আমেরিকার মিয়ারা, সেদিন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি। এখন স্যাংশন দেবে মিয়ারা, আরে আমাদের নেন্ত্রী তো বলেই দিয়েছে,আমরা তোমাদের স্যাংশন দেখে ভয় পাইনা, আমরাও তোমাদের স্যাংশন দেব। আমরা যুদ্ধ করে বাংলাদেশ করেছি।আপনাদের মনে নেই,আজ যদি দেশ স্বাধীন না হতো তাহলে আমাদের ছেলে মেয়ে,ডিসি,এসপি,সচিব,মেজর, ব্রিগেডিয়ার,মেজর জেনারেল হতে পারতো না। সেদিন ঐ আমেরিকা আমাদের বিরোধীতা করেছিল, তারা আমাদের কোনদিন ভাল চায়নি, আজও চাইনা। তাই বলে আমরা কি চুরি পরে ঘরে বসে থাকবো। সামনে নির্বাচন তোমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে বিএনপি জামাতকে মোকাবেলা করবে,আমরা গনতন্ত্রে বিশ্বাসী, নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতা বদলের রাস্তা আমাদের জানা নেই।অবশ্য তাদের নেতা জিয়া তো জোর করে ক্ষমতা দখল করে সেনা বাহিনীকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় এসে দল গঠন করেছিল,তারা আবার গনতন্ত্র শেখাতে আসে, হাসি লাগে। আরে মিয়ারা কোথায় ছিলে,২৩ বছর আন্দোলন করে আমরা পাকিস্থানীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, আর তুমি কিছু জানোনা মিয়া আবার স্বাধীনতার ঘোষক সাজতি চাও। আমরা আওয়ামীলীগ উন্নয়নে বিশ্বাস করি, আর বিএনপি,জামাত ক্ষমতায় আসলে সন্ত্রাস বাড়ে,তারা যদি আবারও ক্ষমতায় আসে তাহলে আজ ১৫ বছর ধরে আপনারা শান্তিতে ঘুমাচ্ছিলেন সেই ঘুম হারাম হয়ে যাবে, সন্ত্রাস বাড়বে, চাঁদা দিতে দিতে জান খারাপ হয়ে যাবে। মানুষ আজ সুখে শান্তিতে বসবাস করে, রাতে শান্তিতে ঘুমাতে পারে। মনে রাখবেন তৃনমুলের নেতা কর্মীরাই দলের প্রান, তাই তৃনমুলের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে,আপনাদের শক্ত হাতে হাল ধরতে হবে। সামনে ভোট, এখন অনেক নেতা আসবে ভোট চাবে, টাকা খরচ করবে। আমরা আজ ৬০ বছর ধরে নেতা কর্মীদের পাশে আছি,তাই আজও অনেক গ্রামের নেতাকর্মীদের ঠিকমত নাম মুখস্ত করে রাখতে পারি নি,আর তুমি মিয়াতো বসন্তের কোকিল,দুদিন পর আর তোমাকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা। বঙ্গবন্ধুর অপরাধ তিনি সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন,তাই বঙ্গবন্ধুকে ঘাতকরা হত্যা করেছে,যারা মুক্তিযুদ্ধ চাই নি তারা স্বড়যন্ত্র করে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, সেদিন মানবাধিকার কোথায় ছিল। এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন,তৃণমূলের নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ৭১ সালে আমরা তরুনরা যেভাবে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম, আজকে ছাত্রলীগ যুবলীগকে প্রস্তুত থাকতে হবে। যে কোন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। গতকাল কর্মীসভায় বেলগাছি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত শাহ’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ,জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক, মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস,সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম,শওকত মিয়া, জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, চুয়াডাঙ্গা সদর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাধারন সম্পাদক, আব্দুল কাদের, চন্দন জোয়ার্দার, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা হামিদুল ইসলাম, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক,যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমুন আহমেদ ডন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলম হোসেন,আতিয়ার রহমান, মাসুদ রানা তুহিন, জেলা পরিষদের সদস্য এ্যাডঃ মুন্সি সিরাজুল ইসলাম,জহুরুল ইসলাম, মজনুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টু, সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু, হিমেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা উম্বাদ আলী। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের রবিউল মেম্বারের উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান লাল্টু, ছাত্রলীগ নেতা গোলাম ছরোয়ার শামিম, বাদশা, রকি প্রমুখ।
Leave a Reply