আলমডাঙ্গা অফিস ॥ আলমডাঙ্গার ছত্রপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের লোকজন ঝন্টু গংদের প্রান নাশের হুমকি দেওয়ায় জমির প্রকৃত মালিক দাবিদারদের পাল্টা সংবাদ সম্মেলন।গতকাল সন্ধা রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। আলমডাঙ্গার ছত্রপাড়া গ্রামের এক নিরীহ কৃষকের জমির ধান কেটে নেওয়ার কথা বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাংবাদিকদের দিয়ে নিউজ করায় জমির প্রকৃত মালিক দাবিদার গন গতকাল ১১ মে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছে। এ সময় ছত্রপাড়া গ্রামের মোঃ ঝন্টু আলী,রাকাই আলী ও হামিদুল আলী লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। তাদের সাথে উপস্থিত ছিল জমির প্রকৃত মালিক দাবিদার, আলমগীর, শহিদুল ইসলাম,ইউনুস আলী,আরিফুল ইসলাম ডাক্তার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন,এই জমির প্রকৃত মালিক ছিলেন ডাউকি ইউনিয়নের অভয়নগর গ্রামের মোছাঃ মালেকা খাতুন, স্বামী ইসমাইল হোসেন,ছত্রপাড়া মৌজার ৭৭/৭৬ নং ছত্রপাড়া গ্রামের এসএ ও আর এস খতিয়ানের ১৮৯/২৬৬ দাগে ১৫ শতক,এবং এসএ খারিজ ১২১/৫নং ফাইনাল ১৬৪ নং খতিয়ান,২/১৮৯/২৬৬ দাগে ধানী জমি ৩০ শতকের মধ্যে ১৫ শতক।উক্ত ৩০ শতক জমি ১২/১২/১৯৯১ সালের পর থেকে খরিদকৃত মালিক নিজের দখলে রাখে।এছাড়াও ছত্রপাড়ার মোছাঃ মর্জনা খাতুন জং কলিমউদ্দিন,এসএ ও আরএস খতিয়ানের,১৮৯/২৬৬,১০৮২/১৪১৯,
১২০১/১৩৮৮ দাগে মোট ৩৭ শতক জমি।তারা লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন। ভাগ্যমান শাহ ১৯৫৭ সালে একই গ্রামের দূর্গা প্রসাদ ঘোষালের নিকট থেকে ছত্রপাড়ার মাঠে এসএ ১২১ নং খতিয়ানভূক্ত ৪৭৮,২১,৫৩,১৮৯ ও ৬০১ দাগে প্রায় ১৫ বিঘা জমি ক্রয় করেন। পরবর্ত্তীতে ওই জমি ভাগ্যমানের দুই ছেলে শমসের আলী ও তাহের আলীর নামে আরএস ১৬৪ খতিয়ানে ৪৭৮/৯৭৯, ২১/১৮,৫৩/৩৯,১৮৯/২৯৬, ৬০১/৫৯০ দাগে রেকর্ডভুক্ত হয়।তারা বলেন আমারা ঐ জমি ক্রয় করেছি এবং ঐ জমি খারিজ করেছি,খারিজের কফি হাতে না আসায় তারা সেই সময় আরএস খতিয়ানে রেকর্ড ভুক্ত করে নেয়।যে কারনে আমরা চুয়াডাঙ্গা আদালতে মামলা করেছি।তারা আরো বলেন বেশিরভাগ সম্পত্তি বাংলাদেশ সরকারের নামে আর এস খতিয়ানে রেকড ভুক্ত হয়।কিন্ত এস এ খতিয়ানে মুল মালিকের নাম দেওয়া আছে।আমরা জমির ভোগদখল করা সত্তেও তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছে যা আদৌ সত্য নয়।অভয়নগর গ্রামের মৃত ডোবন আলীর ছেলে ঝন্টু ও লাল্টু,একই গ্রামের রববান আলীর ছেলে লখাই সখাই,বিশারত আলীর ছেলে আজিজুল,নেকবার আলীর ছেলে বোদা, কলিম উদ্দিনের ছেলে ইউনুস,অভয়নগর গ্রামের মৃত খোরশেদ আলীর ছেলে শহীদ ঐ জমির প্রকৃত মালিক দাবিদার। সংবাদ সম্মেলনে আলমগীর হোসেন দাবি করেন নজরুল ইসলাম গং এর নেতৃত্বে আমাদের জমি দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।তারা মারহাট্টা লোকজন সংগঠিত করে আমাদের কে জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে।এবং নজরুলে লোকজন
নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তার পৈত্রিকসূত্রে ও ক্রয় সুত্রে প্রাপ্ত জমির ধান কেটে নেওয়ার পায়তারা করছে। এ বিষয়ে তিনি চুয়াডাঙ্গা আদালতে ১৪৫ ধারা ও দেওয়ানী মামলা করেছেন।তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের আশু সুদৃষ্টি কামনা করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন।
Leave a Reply