এনএনবি : মধ্যরাতে রুমের আলো নিভিয়ে এক ছাত্রীকে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে বেগম বদরুন্নেসা মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খাদিজা ইসলাম ও এক কর্মীর বিরুদ্ধে। নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী চেতনা হারিয়ে মেঝেতে পড়ে থাকেন। পরে অন্য ছাত্রীরা এসে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে রাত ৩টা নাগাদ চকবাজার থানা পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে কলেজের পুরাতন হোস্টেলের ৩০৭ নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মারধরকারী দুইজনের অন্যজন ছাত্রলীগকর্মী মহুয়া আক্তার। অভিযুক্ত খাদিজা ইসলাম হোস্টেল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবা আক্তার সাইমুনের অনুসারী। আর সাইমুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের অনুসারী।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ভাষ্য, তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খাদিজার সঙ্গে থাকেন। খাদিজা হোস্টেল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবা আক্তার সাইমুনের অনুসারী। সাইমুন তার অনুসারীদের সভাপতির গ্রুপের নেত্রীদের সঙ্গে মিশতে দেন না। তিনি সিনিয়র আপুদের সঙ্গে দেখা করতে তাদের রুমে গেলে তাকে নির্যাতন করা হয়।
মাহমুদা আরও বলেন, আমি অন্য রুমে সিনিয়র আপুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলাম। আড্ডা শেষে রুমে ফেরামাত্রই মহুয়া আক্তার আমার মোবাইল কেড়ে নেয়। এরপর রুমের আলো নিভিয়ে খাদিজা আক্তার আমাকে মারধর করে। মারধরের ফলে আমি অচেতন হয়ে পড়ি। পরে অন্য সিনিয়র আপুরা আমাকে উদ্ধার করে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত খাদিজা ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি একে মিথ্যা বলে দাবি করেন। এ ঘটনাকে নাটক বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
এ ঘটনায় কলেজ অধ্যক্ষের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ফোন দিলেও তিনি কল ধরেননি।
Leave a Reply