খোকসা প্রতিনিধি ॥ কুষ্টিয়ার খোকসা জানিপুর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী (ইংরেজি) শিক্ষক মোঃ রেজাউল ইসলাম, দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়ানোর সময় ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণ চেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে মেয়েটি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিতে প্রশাসন বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল ইসলাম কে শুনানীর জন্যে ডাকা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষক নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টায় বিভিন্ন প্রভাবশালীদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। অভিযোগকারী শিক্ষার্থী খোকসা জানিপুর পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত। গত ২০ সেপ্টেম্বর ওই শিক্ষার্থী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সহ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ সময় শিক্ষার্থীর বাবা ও মা উপস্থিত ছিলেন। তার বাড়ি উপজেলা কমলাপুর গ্রামে। সোমবার অভিযুক্ত শিক্ষককে শুনানীর জন্য তলব করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস। ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিমের কাছে বৈকালীন ব্যাচে প্রাইভেট পড়ত সে। এসএসসি পরীক্ষা চলার অজুহাতে ছাত্রীটি কে সকালের ব্যাচে আসার জন্য অনুরোধ করেন শিক্ষক রেজাউল করিম। শিক্ষকের কথা অনুসারে ১৭ সেপ্টেম্বর ছাত্রী সকালে পড়তে আসে। তার আসতে বিলম্ব হওয়ায় শিক্ষক অতিরিক্ত লেখা চাপিয়ে দিয়ে ছাত্রীকে দেরি করান তিনি। এক পর্যায়ের সকল শিক্ষার্থীরা চলে গেলে শিক্ষক ছাত্রীর শরীরে হাত দেওয়া সহ ঠোঁটে কিস করে নানা ভাবে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন। এ ঘটনার দিন বাড়ি ফিরে শিক্ষার্থী তার পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করে। পরে তারা প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে ওই ছাত্রীর বাবা-মা সাংবাদিক ও আত্মীয় সজনদের এড়িয়ে চলছে। একাধিক বার কল দিলেও ফোন রিসিভ করেননি। মেয়েটির বাড়ি গিয়ে ডাকাডাকি করেও সারা মেলেনি, তবে পাশেই মেয়েটির মামা বাড়িতে গেলে জানাযায় রেজাউল মাস্টার এসে খুব আকুতি মিনতি করেছে সে কারনে আমরা চুপচাপ রয়েছি বলেন জানান। অভিযোগকারী ছাত্রীর পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত একটি সূত্র বলছে, কোন না কোন অদৃশ্য ভয়ের কারণে তারা আত্মগোপনে রয়েছেন। এটি সামাজিক ভীতিও হতে পারে। অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল করিমের মোবাইলে একাধিক ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। খোকসা থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়টির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি রিপন বিশ্বাস জানান, ছাত্রীর যৌন হয়রানির একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল করিমকে সোমবার স্বশরীরে হাজির হয়ে জবাবদিতে বলা হয়েছে। দোষী সাবস্ত হলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে হবে।
Leave a Reply