কাগজ প্রতিবেদক ॥ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ওয়াশরুমের দরজা মেরামতে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এতে কাঠের দরজা খুলে কমদামি ও নন-ব্রান্ডের প্রাস্টিকের দরজা লাগানো হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে দরজা মেরামতের কাজ স্থগিত করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ক্যাম্পাস সূত্রে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহামান হল সংস্কারে বিশ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় কর্তৃপক্ষ। এতে সিভিল ক্যাটাগরিতে ওয়াশরুমের নষ্ট দরজাসমূহ খুলে প্রয়োজনীয় নতুন দরজা লাগানোর নির্দেশ দেয়া হয়।
হলে এনিয়ে মোট ১৭টি দরজা লাগানো হয়েছে বলে জানা গেছে। কাঠের দরজা খুলে নতুন করে লাগানো এসব কমদামি প্লাস্টিক দরজার টেকসই নিয়ে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। দরজাগুলোতে কোন প্রকার ব্রান্ডের লগো বা নাম নেই বলে নিশ্চিত করেছেন তারা। এছাড়া দরজাগুলো কমদামি ও নিম্নমানের বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এক কাঠমিস্ত্রি। এদিকে পূর্বের কাঠের দরজাগুলোর কয়েকটি ছাড়া বাকিসব দরজা পরিবর্তন না করে অল্প খরচে মেরামত করা যেত বলে জানিয়েছেন কাঠমিস্ত্রী সহ শিক্ষার্থীরা। ভাউচারে মোটা অঙ্ক যোগ করতে নতুনকরে নিম্নমানের এসব প্লাস্টিকের দরজা লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এক মিস্ত্রি ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, বেশ কয়েকটি ওয়াশরুমের দরজা শ’খানেক টাকা দিয়ে ঠিক করা যেত। শুধুই টাকা নষ্ট করে নতুন দরজা দিচ্ছে। তাও আবার ভাল মানের না। দরজাগুলো সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা হবে। আসলে সরকারি কাজের মা-বাব নেই’ এদিকে নতুন দেয়া দরজার কয়েকটি ঠিক ভাবে লাগাতে পারছেন না বলেও অভিযোগ করেছেন একাধিক শিক্ষার্থী। এনিয়ে বিপাকে পরেছেন তারা। ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইমানুল রায়হান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, নতুন দরজা লাগানো ওয়াশরুমগুলোতে গিয়ে ভিতর দিক থেকে আর দরজাগুলো লাগাতে পারিনা। ফলে ওয়াশরুমগুলো এখন ব্যাবহার করতে পারছি না। নতুন করে কাজ করেও যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহল শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শেষ কোথায়!’ এদিকে দ্বায়সারাভাবে করে যাওয়া এসব কাজের খোঁজ নেই দায়িত্বরত প্রকৌশলীদের কাছেও। দরজার মান নিয়ে জানতে চাইলে জিয়াউর রহমান হলের সিভিল সেক্টরের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম নাসিমুল ইসলাম বলেন, দরজাগুলো কোন ব্রান্ডের তা সঠিক বলতে পারছি না। তবে দরজাগুলো দেখে ভাল মনে হয়েছিল তাই লাগাতে বলেছিলাম। এবিষয়ে দায়িত্বরত সাব-কন্ট্রাকটর রেজাউল করিম ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, দরজাগুলোর মান নিয়ে কিছু বলতে পারছি না। আমাদেরকে এগুলো লাগাতে বলা হয়েছে তাই করছি। এদিকে আবাসিক হলে এসব নিম্নমানের ও নন-ব্রান্ডের দরজা লাগানোর বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে বৃহষ্পতিবার দরজা মেরামতের কাজ স্থগিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। এবিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে চিফ ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলে কাজ স্থগিত করেছি। রবিবার ক্যাম্পাসে গিয়ে সংশ্লিষ্ট হল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নিব।
Leave a Reply