কাগজ প্রতিবেদক ॥ কুষ্টিয়ার কুমারখালী চরসাদিপুর ইউনিয়নে সালিশী বৈঠক চলাকালীন সময়ে ছুরিকাঘাতে মোক্তার প্রামাণিক (৭০) নামের একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় নিহতের চাচাতো ভাই হোসেন আলী মাষ্টার নামের আরো একজন আহত হয়। ঘটনাটি গতকাল বাদ মাগরিব উপজেলার চর সাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর হঠাৎপাড়া তজিরুন নেছা জামে মসজিদ এলাকায় ঘটেছে। আহত ব্যক্তি পাবনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা হঠাৎপাড়া এলাকার বাসিন্দা। নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বুধবার দিকে তজিরুননেছা জামে মসজিদ এলাকার হেলাল উদ্দিনের প্রতিবন্ধী স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করেন নিহতের বোন জামাই মনির। এ নিয়ে সকালে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে সন্ধায় সালিশী বৈঠকে মিটমাটের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর সন্ধায় হেলালের বাড়িতে সালিশ বসানো হয়। সেখানে মোক্তার প্রামাণিক ১০ জনকে নিয়ে হাজির হয়। কিন্তু অভিযুক্ত বোন জামাই মনির সালিশী উপস্থিত না থাকায় হেলাল ও কাটু কসাইর নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি গ্রুপ আক্রমণ চালায়। এ সময় কাটু কসাই’র ছুরিকাঘাতে মোক্তার প্রামাণিক ও তার চাচাতো ভাই হোসেন আলী মাস্টার গুরুতর আহত হয়। পরে স্বজনরা আহতদের উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মোক্তার প্রামাণিককে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে আহত ব্যক্তির ছেলে সাখাওয়াত মুঠোফোনে বলেন, আমার চাচাতো ফুফা এক মহিলার ঘরে ঢুকেছিল। এ নিয়ে সন্ধায় হেলালের বাড়িতে সালিশে যায় আমরা প্রায় ১০ জন। কিন্তু সালিশে আমার ফুফাকে হাজির না করায় ওরা হামলা চালায়। এ সময় আমার চাচা মোক্তার প্রামাণিক ও বাবা হোসেন আলী মাষ্টার ছুরিকাঘাতের আহত হয়। এরপর তাদের উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ডাক্তার চাচাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং বাবা চিকিৎসাধীন রয়েছে। চর সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, মেয়েলি ঘটনায় সালিশ চলছিল। এ সময় তাদের মারামারি হয়। এতে ছুরির আঘাতে মোক্তার নামের একজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চরসাদিপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড হটাৎপাড়ার মেম্বার আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রতিবন্ধী গৃহবধুর ঘরে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সালিশে ছুরিকাঘাতে একজন নিহত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় ঘাতক কাটু কসাইকে পুলিশ খুঁজছে বলে জানা গেছে।
Leave a Reply