কুমারখালী প্রতিনিধি ॥ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮০তম প্রয়াণ দিবস উদযাপনে এবারও কুমারখালীর শিলাইদহ কুঠিবাবড়ীতে নেই কোন আয়োজন। বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে সরকারি নির্দেশনার নিমিত্তে কোনও আয়োজন করা হয়নি বলে জানান, কুঠিবাড়ীর কাস্টোডিয়ান (ভারপ্রাপ্ত) মুখলেছুর রহমান ভুঁইয়া। তবে স্থানীয় রবীন্দ্র গবেষক ও ভক্ত অনুরাগীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানা মাধ্যমে কবিগুরু’র জীবনী নিয়ে ভার্চুয়াল আলোচনা করেছেন। এ ব্যাপারে কুমারখালীর কবি ও নাট্যকার লিটন আব্বাস জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে সবকিছুই থমকে রয়েছে। তবুও কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে তাঁকে নিয়ে একটু আলোচনা না করলে চলে ! তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কবিগুরুকে নিয়ে কাছের ও দুরের কবিদের সাথে মতবিনিময় করছি। রবীন্দ্র গবেষক ও সংগীত শিল্পী রেফুল করিম মুঠোফোনে জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে কবিগুরু’র মহাপ্রয়াণ দিবসেও কোন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়নি। তবুও সকালে এসেছি কবিগুরু’র স্মৃতিবিজড়িত শিলাইদহ কুঠিবাড়ীতে। এখানে এসে কোলাহল মুক্ত নির্জন পরিবেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে ভারত ও বাংলাদেশের বিশিষ্ট কবি ও গবেষকদের সাথে যুক্ত হয়ে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছি কবিগুরুকে। সেই সাথে আশাকরছি আগামীতে আবারো জমজমাটভাবে কবিগুরু’র জন্মজয়ন্তী ও প্রয়াণ দিবস পালিত হবে। উল্লেখ্য, কবিগুরুর জীবনের উল্লেখযোগ্য সময় কেটেছে সেই কুমারখালীর শিলাইদহ কুঠিবাড়ীতে। জমিদারি পরিচালনার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কুমারখালীর শিলাইদহে আসলেও সাহিত্য রচনায় বেশি মনোযোগী ছিলেন তিনি। কুঠিবাড়ির ছায়াঘেরা পরিবেশ ও পদ্মা নদী রবীন্দ্রনাথকে যে মুগ্ধ করেছিল, তার প্রমাণ মেলে সাহিত্য রচনায়। রবীন্দ্রনাথ তাঁর সাহিত্যকর্মে এই কুঠিবাড়ীকে বার বার তুলে ধরেছেন। এখানে বসেই তিনি রচনা করেন সোনার তরী, চিত্রা, চৈতালী, নোবেলজয়ী গীতাঞ্জলিসহ অসংখ্য গান এবং কবিতা।
Leave a Reply