কাগজ প্রতিবেদক ॥ কুষ্টিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় করোনা ও এর উপসর্গ নিয়ে আরও অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৮ জন করোনা শনাক্ত ছিলেন, বাকি ৬ জনের করোনার উপসর্গ ছিলো। গত ১১ জুলাই রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ ১২ জুলাই সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে এদের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৭৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ১০২৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় গতদিনের চেয়ে শনাক্তের হার আরো ১ কমে ২৬.৯৭ শতাংশ হয়েছে। এদিকে দায়িত্বে অবহেলায় নজরদারি করতে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আব্দুল মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, দু-এক দিনের মধ্যেই এই ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হবে। এছাড়াও রোগী মৃত্যুর বিষয়টিও নজরদারি করা হচ্ছে। গত ৭ দিনেই কুষ্টিয়ায় ৮৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এই ৭ দিনে আরও অন্তত ৩০ জন উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে। আর গত ৭ দিনে এ জেলায় ১৮শ ১৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত শুধুমাত্র করোনা পজিটিভ ৩৬৯ জনের মৃত্যু হলো। সোমবার সকালে হাসপাতাল থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের রোগীর চাপ বেড়েই চলেছে। তত্বাবধায়ক ডাক্তার আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, ২শ বেডে করোনা ও এর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন প্রায় ৩শ জন। এদের মধ্যে করোনা শনাক্ত রোগী ১৯২ জন। বাকীরা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছেন। প্রায় ৭০ শতাংশ রোগীদের অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। হিমশিম খাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। অক্সিজেন সংকট কেটেছে। এখন হাসপাতালের সব বেডে সেন্ট্রাল অক্সিজেন নিশ্চিত করা হয়েছে। রোগীদের নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন দিতে ৬ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ট্যাংক বসানো হয়েছে। এদিকে, চলমান লকডাউন অনেকটাই ঢিলেঢালাভাবে চলছে। শহরে ও গ্রামে মানুষ স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে। অধিকাংশরায় স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।
Leave a Reply