ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ॥ আষাঢ়ের টানা বর্ষণে ঝিনাইদহে ছন্দপতন ঘটেছে জনজীবনে। শুক্রবার দিনব্যাপী ও শনিবার ভোর থেকে একটানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কখনো ভারি আবার কখনো গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন শহরের চলাচলকারীরা। ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়ে বৃষ্টির কারণে আটকা পড়ছেন শহরে। বৃষ্টির কারণে দোকান-পাটে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে অনেককে। সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নি¤œ আয়ের মানুষ। কাজের সন্ধানে বের হয়ে কাজ না পেয়ে অনেককে বসে থাকতে দেখা গেছে। শৈলকুপা উপজেলার ভাটই গ্রাম থেকে আসা ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, মুদি দোকানের মালামাল কিনতি শহরে আসলাম। এত বৃস্টি হচ্চে যে মুকামে যেতেই পারছিনে। আবার দোকানও খুলছে না। ২ দিন ধরে বৃস্টি হচ্চে।সদর উপজেলার হাটগোপালপুর এলাকার বাসিন্দা মসিউর রহমান বলেন, সকালে শহরে আসিছি একজনের সাথে দেখা করার জন্যি। মাহেন্দ্র থেকে নেমে আরও কোথায় যাতি পারছি নে। সকাল থেকেই খুব বৃষ্টি হচ্চে। এখন ভিজতি ভিজতিই কাজ সারে বাড়ি যাতি হবি। রিক্সা চালক সাদিমুল ইসলাম বলেন, সকালে বাড়ি থেকে রিক্সা নিয়ে বের হইছি। বৃস্টি যখন কম হচ্চে তখন দুই একজন প্যাসেঞ্জার পাচ্চি। রাস্তায় লোক নেই। ভাড়া-ভুতি কম হচ্চে। শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে বসে থাকা দিনমজুর আমিরুল ইসলাম বলেন, প্রতি দিন সকালে এখানে কাজের জন্যি আসি। আজ সকালে আসে বসে আছি। কোন লোক কামের জন্য নিতি আসছে না। আরএকটু সময় বসে থাকব। কাম না পালি বাড়ি ফিরে যাতি হবে। কি আর করব। এদিকে বৃষ্টির কারণে তলিয়ে যাচ্ছে আউশ ধানের বীজতলা। নষ্ট হচ্ছে মরিচ, সবজিসহ অন্যান্য ফসল। এ ব্যাপারে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ডা: জাহিদুল করিম বলেন, আউশ ধানের বীজতলা তলিয়ে গেলে বীজতলার ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও অন্যান্য ফসলের জমিতে যেন পানি জমে না থাকে এ ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। জমিতে পানি জমে থাকলে তা অপসারণের ব্যবস্থা করতে হবে।
Leave a Reply