কাগজ প্রতিবেদক ॥ কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ রেলওয়ে জংশনে লাইনচ্যুত টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনটি অবশেষে ৬ ঘন্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনে কাটা পড়ে এক মহিলা নিহত এবং দুই জন আহত হয়েছেন। গতকাল রাতে জংশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কুষ্টিয়ার পোড়াদহ রেলওয়ে জংশন স্টেশনে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা গোপালগঞ্জগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে লাইন পরিবর্তন করার সময় পেছনের একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এতে খুলনার সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ সাময়িক বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেনকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্য তিন সদস্যরা হলেন পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকৌশলী-১ বীরবল মন্ডল, পাকশি রেলওয়ের বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকোশলী (ক্যারেজ) মমতাজুল ইসলাম, পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের সংকেত ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশলী রাজিব বিল্লাহ। এক কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কুষ্টিয়ার পোড়াদহ স্টেশন মাস্টার শরিফুল ইসলাম জানান, রাজশাহী হতে গোপালগঞ্জগামী টুঙ্গিপাড়া এক্সেপ্রেসটি ট্রেননি সারর্টিং (লাইন পরিবর্তন করা) করার সময় পেছনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী রিফিল ট্রেন আসার পর উদ্ধার কাজ শুরু হবে। ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। পাকশি বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেন জানান, বিকেলে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি গোপালগঞ্জের গোবরার দিকে যাচ্ছিলো। ট্রেনটি পোড়াদহ জংশন ঢোকার পর ইঞ্জিন বদল করে বিপরীত লাইনে যাওয়ার সময় আন্তঃনগর টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি কোচের ৮টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) শাহীদুল ইসলাম জানান, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি কোচের আটটি চাকা লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনা ঘটলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। এদিকে দীর্ঘ ৬ ঘন্টা পর রাত সাড়ে ৯টার দিকে ট্রেনটি উদ্ধারের সময় হালসা এলাকায় দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনে কাটা পড়ে সালেহা খাতুন (৫০) নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন আলেয়া (১২) সাহেদা খাতুন (৫৫) নামে আরও দুজন মহিলা গুরুতর আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
Leave a Reply