তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে দেড় যুগ আগে হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলার অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে আসামিদের দায়ের করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে অস্ত্র আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিল পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আদালত। এর ফলে, এই মামলার কার্যক্রম চলতে আইনগত আর বাধা নেই।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশের পর সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘সাতক্ষীরায় গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলার আপিল খারিজ হয়ে গেছে। ফলে এর আগে দেওয়া এই মামলার স্থগিতাদেশ আর নেই। এ মামলার কার্যক্রম চলতে এখন আইনগত আর কোন বাধা নেই। এছাড়া বিস্ফোরক আইনের মামলায় ১১ দফা পর্যবেক্ষণসহ আপিল নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। পর্যবেক্ষণের আলোকে নতুন করে অভিযোগ গঠন করতে বলা হয়েছে। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পেলে পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।’
সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় করা মামলায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে আসামি আলতাব হোসেনসহ অন্যরা ২০১৭ সালে হাইকোর্টে পৃথক দুটি আপিল করেন। এরপর একই বছরের ৯ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে মামলা দুটির কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেন।
ধর্ষণের শিকার হয়ে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরায় যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। সড়কপথে ঢাকায় ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনা ঘটে।
সে সময় শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এছাড়া বোমা বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এতে আহত হন শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাসহ স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাংবাদিকরা। ওই ঘটনায় কলারোয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন কলারোয়া থানায় মামলা করতে যান, তবে তা গ্রহণ করা হয়নি।
Leave a Reply